মাছ চাষের আধুনিক পদ্ধতি জেনে নিন ।

প্রিয় পাঠক আপনি কি মাছ চাষ করার পদ্ধতি খুজছেন ? কিন্তু কোথাও এ বেপারে জানতে পারছেন না , এছাড়াও মাছ চাষের আধুনিক পদ্ধতি কি কি তা জানতে চাচ্ছেন ? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনি পরতে পারেন । এছাড়াও শীতে কোন মাছ চাষে লাভ বেশি হয় সেই বিষয়েও  আলোচনা করা হয়েছে এই আর্টিকেলটিতে । 



মাছ আমাদের একটি প্রানিজ সম্পদ । এবং এই প্রানিজ সম্পদটি আমাদের সাথে জরিত বিশেষ ভাবে জড়িত রয়েছে । তাই জেনে নেওয়া যাক মাছ চাষ করার পদ্ধতি সম্পর্কে ।

ভুমিকা

মাছ হলো একটি প্রানি সম্পদ । যাকে আমরা খাদ্য হিসেবে ব্যাবহার করে থাকি । শুধু খাদ্দের জন্যই না, আমাদের দেশে মাছ চাষ করে বাইরের দেশেও বিক্রয় করা হয়। এবং তা থেকে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যায় । আমাদের আশেপাশে নদি-নালা , খাল,  বিল, পুকুর ইত্যাদি জায়গা গুলোতে মাছ চাষ করতে দেখা যায় । 

বিশেষ করে জেলেরা নদীতে বেশি মাছ ধরে এবং তা থেকে তারা দেশের মাছের চাহিদা পুরন করে । এবং তা থেকে তারা তাদের নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করে। মাছ চাষের গুরুত্ব অনেক। তাই শুধু মাছ চাষের গুরুত্ব জানলেই হবে না । আমাদের জানা উচিত মাছ চাষ করার পদ্ধতি সম্পর্কেও ।  

আরও পড়ুন ঃকম্পিউটার আবিস্কারের ইতিহাস সম্পর্কে জেনে নিন ।

মাছ চাষের আধুনিক পদ্ধতি

বর্তমান সময়ের যুগের তালে তালে সমস্ত কিছুর পরিবর্তন ঘটছে । তেমনি মাছ চাষের ও আধুনিক পদ্ধতির প্রকাশ ঘটছে । আধুনিক উপায়ে মাছ চাষ করে অনেকভাবে লাভবান হওয়া যায় এবং এর থেকে অনেক উপকারও পাওয়া যায় । আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার জন্য প্রথমে আগে মাছ চাষ সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিতে হবে ।

মাছ চাষ করার সময় চাষ উপযোগী মাছ এবং মাছের গুনাগুন ও মাছের বিভিন্ন জাত সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে । আমাদের এই দেশের স্পাবাদুনিতে রয়েছে ২৬০টির প্রজাতির মাছ । কোন কোন জায়গায় দেখা যায় যে এর চেয়েও বেশি মাছ রয়েছে আমাদের দেশের স্বাদু পানিতে। তাছাড়াও অন্যান্য অঞ্চল ও পানিতে  মাছ রয়েছে  প্রায় একশত প্রজাতির চেয়েও বেশি প্রজাতির । 

আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার যে উপায়গুলো রয়েছে সেগুলো হলো ঃ

  • মাছ চাষ করার জন্য পুকুর প্রস্তুত করন ।
  • নিয়মিত পুকুরে চুন প্রয়োগ । 
  • পুকুরে মাছ চাষ।
  • সতর্কতা । এ তেরা পিয়া মাছ তেলাপিয়া মাছ আড়াই থেকে
মাছ চাষ করার জন্য পুকুর প্রস্তুত করন 

মাছ চাষ করার জন্য সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে হবে তাহলে একটি পুকুর নির্ধারণ করতে হবে । যদি পুকুর তৈরি করায় থাকে তাহলে ভালো, আর যদি না থাকে তবে পরিমাণ মতো একটা পুকুর তৈরি করে নিতে হবে । যার দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ ঠিক ঠাক ভাবে রাখতে হবে এবং গভীরতা ঠিক রেখে পুকুরটি তৈরি করতে হবে । 

আর যদি পুকুর তৈরি করায় থাকে তাহলে সেই পুকুরের চারিদিকটা ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে । পুকুরের চারিদিক বলতে পুকুরের পাড় এবং পুকুরের তলা ঠিকঠাক ভাবে পরিষ্কার রাখতে হবে । পুকুর পাড়ে যদি আগাছা বা জঙ্গল থাকে তাহলে সেগুলোকে ভালোভাবে কেটে পরিষ্কার করে নিতে হবে । যাতে করে পুকুরটা দেখতে সুন্দর লাগে এবং করার জঙ্গল না থাকে । 

এরপর পুকুরের চারিদিকটা ভালোভাবে দেখে নিতে হবে যাতে করে কোন প্রকার সমস্যার দেখা না যায় । এবং তৈরি কৃত পুকুরের পানি যদি পরিমাণমতো না থাকে তাহলে পরিমাণ মতো পানি দিতে হবে । এবং পানি গুলো অবশ্যই পরিষ্কার পানি রাখতে হবে । এসব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আপনার মাছ চাষ করার জন্য পুকুর প্রস্তুত । 

নিয়মিত পুকুরে চুন প্রয়োগ

পুকুরে মাছ চাষ করার সময় দেখা যায় যে পুকুরের পানি পরিষ্কার থাকে না । পানি তো অনেক ময়লা আবর্জনা এবং পানির কালারও নষ্ট হয়ে থাকে ।  তাই এই ঘোলাটে এবং ময়লা আবর্জনা গুলো দূর করতে পুকুরে চুন ব্যবহার করতে হবে । চুন ব্যবহার করার ফলে পুকুরের যে ময়লা এবং ঘোলাটে পানি থাকে সেগুলো পরিষ্কার পানি হয়ে যায় । 

পানির ময়লা দূর করার জন্য একজন ব্যবহার করতে হবে । যদি পুকুরের পানি ঘোলাটে বা ময়লাযুক্ত থাকে তাহলে সেখানে মাছ চাষ করা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে । কারণ ময়লাযুক্ত নষ্ট পানিতে মাছ ঠিকঠাক ভাবে বেঁচে থাকতে পারে না । এবং তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় । যার কারণে পুকুরের অধিকাংশ মাছ মারা যায় ।  

বাজার থেকে চুন কিনে নিয়ে সেগুলো একটি পাত্রে ভিজিয়ে নিতে হবে এবং ভেজানোর দুই দিন পর সেগুলো পুকুরে দিতে হবে । চুন ব্যবহারের কারণে পুকুরের পানি পরিষ্কার থাকবে এবং মাছ ও ঠিকঠাক ভাবে বেঁচে থাকতে পারবে । তবে খেয়াল রাখতে হবে অতিরিক্ত চুন দেওয়া যাবে না । অতিরিক্ত চুন ব্যবহার কারণে বিপরীত ফলাফল করতে পারে । 

পুকুরে মাছ চাষ

পুকুরে মাছ চাষ করার সময় ভালো প্রজাতির মাছ চাষ করতে হবে । কারণ পুকুরে মাছ ছাড়ার সময় যদি ভালো জাতের মাছ না ছাড়া হয় তাহলে মাছ সহজে তাড়াতাড়ি বড় হবে না এবং এর থেকে ভালো কিছু বা লাভজনক কোন কিছু আশা করা যাবে না । তাই খেয়াল রাখতে হবে মাছ চাষ করার সময় বা পুকুরে মাছ  ছাড়ার সময় ভালো জাতের মাছ ছাড়তে হবে ।

ভালো জাতের মাছগুলো হলো , রুই , মিরকা , তেলাপিয়া , পাঙ্গাস , সিলভার  ইত্যাদি । এছাড়া আরো অনেক ভালো ভালো জাতের মাছ রয়েছে সেগুলো পুকুরে ছাড়তে হবে । যাতে করে সেগুলো তাড়াতাড়ি বাড়ে এবং তার থেকে দ্রুত লাভ করা যায় । এজন্য ভালো জাতের মাছ ছাড়া খুব জরুরী এবং গুরুত্বপূর্ণ । 

সতর্কতা

মাছ চাষ করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করে মাছ চাষ করতে হবে । তা না হলে লাভের চেয়ে ক্ষতির সংখ্যা বেড়ে যাবে । মাছ চাষ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে মাছগুলো ভালো যাতে নাকি খারাপ জাতের । এবং রোগ প্রতিরোধ করতে পারে এরকম জাতের মাছ চাষ করতে হবে । যখন পুকুর মাছ ছাড়া হবে তখন মাছের পোনা গুলো ঠিকঠাক ভাবে দেখে ছাড়তে হবে । 

পুকুরের পানি পরিষ্কার রাখতে হবে এবং পুরুষ চারিদিকটা দেখতে হবে যাতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে । এবং প্রায় তিন থেকে চার বছর পর পর পুকুরের পানি শুকিয়ে ফেলতে হবে । যদি বছরের পর বছর একই পানি থাকে তাহলে সেখানে মাছ চাষ ভালো হয় না ।  তাই মাছ চাষ করার সময় এসব বিষয়গুলো সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে । 

শীতে কোন মাছ চাষে লাভ বেশি

শীতকালে মাছ চাষ করে লাভ বেশি করার জন্য কোন মাছ চাষ করতে হবে সেই বিষয়ে এখানে আলোচনা করা হয়েছে । মানুষ মাছ চাষ করে ব্যবসার জন্য এবং তাদের জীবিকা নির্বাহ করার জন্য । আর যারা যারা মাছ চাষ করে তারা সকলেই চায় যে কোন মাছ চাষ করলে কখন চাষ করলে বেশি লাভ করা যাবে । 

তো এখানে শীতকাল সম্পর্কে বলা হয়েছে, মৎস্য অধিদপ্তরের গবেষণায় দেখা গেছে যে পশ্চিম জেলা থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন জেলাতেই মৃগেল, কাতল, রুই ইত্যাদি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করা হয় । কিন্তু এইসব মাছ শীতকালে তেমন চাষ করা হয় না । কারণ হলো এসব মাছ ১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রার কম তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে না । 

তাই এসব মাছ শীতকালে সেরকম বৃদ্ধি পায় না এবং তাড়াতাড়ি বড় হয় না । তাই এসব মাছ শীতকালে চাষ না করায় উচিত হবে । শীতকালীন সময় যেসব মাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং যেগুলো থেকে খুব তাড়াতাড়ি লাভ করা যায় সে মাছগুলো হল, সিলভার  কার্প, বিগ হেড, এবং আমুর কার্প, ইত্যাদি  । এসব মাছগুলো শীতকালে চাষ করা যায় । 

কারণ এই মাছগুলো ৪ থকে ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রাতেও বেঁচে থাকতে পারে এবং নিজেদের খাদ্য নিজেরা তৈরি করে নিতে পারে । এর ফলে মাছগুলো খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় । যার কারণে এসব মাছ চাষ করলে লাভ ও বেশি করা যায় । তাই শীতকালীন সময় মাছ চাষ করলে এইসব মাছগুলো চাষ করা যেতে পারে । এবং তা থেকে লাভ ও আশা করা যায় । 

 মৎস্য চাষ পদ্ধতি

মৎস্য চাষ পদ্ধতিটি এমন একটি বিষয় যা কারো কাছে শখ এবং কারো কাছে পেশা । কেউ শখের বসে এই মৎস্য চাষ করে এবং কেউ কেউ রয়েছে যারা তাদের জীবিকা নির্বাহ করার জন্য এবং ব্যবসা করার জন্য মৎস্য চাষ করে । মৎস্য চাষ করার ফলে খাবারের যে মান এবং পুষ্টি রয়েছে তা সম্পূর্ণরূপে পূরণ করা যায় । 

কারণ মাছে রয়েছে অনেক পুষ্টি এবং ভিটামিন ও গুণাগুণ । যা আমাদের জন্য খুবি উপকারি । এ মৎস ্য চাষ করা হয় সাধারণত জলে, হতে পারে সেটা নদীতে, পুকুরে, কিংবা সমুদ্রে । মৎস্য চাষের মূল উপাদান হলো পানি । মৎস্য চাষ বিভিন্নভাবে করা যায় । যেমন পুকুরে , খাচা ব্যবহার করে, ট্যাংক সিস্টেম করে মাছ চাষ করা যায় ।

মাছ চাষ করার জন্য একটি ভালো মানের পুকুরের প্রয়োজন । সে পুকুরটির দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, গভীরতা ঠিকঠাকভাবে নির্ধারণ করতে হবে । তারপর পুকুরের আশেপাশে এবং পুকুরের পাড়ে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করতে হবে এবং আগাছা জঙ্গল পরিষ্কার করতে হবে । তারপর সেখানে ভালো মানের মাছের পোনা ছাড়তে হবে । 

আরও পড়ুন ঃওজন কমাতে লেবু পানি খাওয়ার নিয়ম বিস্তারিত জেনে নিন ।

পোনা গুলো ছাড়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে সেগুলো ভালো জাতের কি না । কারণ পুকুরে বা যেখানেই হোক মাছ চাষ করার সময় ভালো জাতের পোনা ছাড়তে হবে । তা না হলে সেখান থেকে কোন উপকার পাওয়া যাবে না । এবং পোনা ছাড়া হয়ে গেলে নিয়মিত সেগুলোর দেখাশোনা এবং পরিচর্যা ও সময়মত খাবার দিতে হবে । 

আস্তে আস্তে সেগুলো বড় হয়ে গেলে মাছগুলো ধরে বাজারজাত করা যাবে এবং তা থেকে আয় করা যাবে । এভাবেই মৎস্য চাষ করে ভবিষ্যৎকে আলোকিত করা সম্ভব এবং ভবিষ্যতে ভালো কিছু আশা করা সম্ভব। 

মাছ চাষের উপকারিতা 

মাছ চাষের উপকারিতা রয়েছে অনেক, যা ভাষায় বলে শেষ করা যাবে না । মা আছে হল একটি উপকারী ও পুষ্টিকার খাবার । যা আমাদের খুবই প্রয়োজনীয় এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ । জেনে নেওয়া জাক মাছ চাষের উপকারিতা গুলো কি কি ঃ

  • মাছ একটি উপকারী খাদ্য, যার মধ্যে রয়েছে অনেক ভিটামিন এবং পুষ্টি। এ ভিটামিন ও পুষ্টি আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে । 
  • মাছ একটি আমিষ জাতীয় খাবার, যা আমাদের আমিষের চাহিদা পুরন করবে ।
  • মাছ চাষ করে জেলেরা টাকা ইনকাম করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে ।
  • এই মাছ দেশে বিদেশে রপ্তানি করে অনেক টাকা আয় করা যায় । 
  • এবং মাছ চাষ করে সেগুলো বিদেশে রপ্তানি করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। 
  • মাছ চাষ করে জেলেরা অনেক উপকৃত হচ্ছেন এবং তারা দিন দিন অনেক উন্নতি করতে সক্ষম হচ্ছেন । 
  • মাছ চাষ করে চাষিরা নিজেদের এবং দেশের অনেক উপকার করছে । 
মুল কথা হলো মাছ একটি উপকারি খাদ্য । এবং খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি চাষক্রিত উপাদান । 

৫ টি লাভজনক মাছ

বাংলাদেশের প্রায় জেলাতেই  মাছ চাষ করা হয় । আর এই মাছ চাষ করার কারনে বাংলাদেশ মৎস্য দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে । মাছ চাষ করে চাষিরা অনেক লাভ করে থাকেন । তো এখন  জেনে নেওয়া যাক৫ টি লাভজনক মাছ সম্পর্কে ঃ

চিংড়ি

চিংড়ি মাছ বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় মাছ । এই চিংড়ি মাছের যেমন চাহিদা তেমনি এর সুসসাদুতা । এই মাছ খেতে খুবি সুস্বাদু  । এই মাছে রয়েছে অনেক পুষ্টি ও ভিটামিন । দিন দিন এই মাছের চাহিদা বেড়েই চলেছে । এই মাছটি  চাষ করার জন্য খুবি সুন্দর একটি মাছ । এই মাছ চাষ করে চাষিরা অনেক টাকা আয় করে ।

তেলাপিয়া 

বাংলাদেশের  চাষিদের কাছে আরও একটি জনপ্রিও এবং চাহিদা সম্পন্ন মাছ হলো তেলাপিয়া মাছ । এই মাছের জাত যেমন ভালো তেমনি এর চাহিদা । বাজারে এই মাছের চাহিদা প্রচুর । কারন তেলাপিয়া মাছ চাষ ক্রিত দিক দিয়ে অনেক মানসম্মত । এই মাছ সকল পরিবেশে নিজেদেরকে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। 

তেলাপিয়া মাছের প্রজনন ক্ষমতা অনেক । যার কারণে তারা প্রচুর পরিমাণে ডিম দেয় এবং তা থেকে বাচ্চা ফোটায়  । তেলাপিয়া মাছ আড়াই থেকে তিন মাসের ভেতরে বাজারজাত করা যায় ।  এই মাছ চাষ করে অনেক লাভ করা যায় । তেলাপিয়া মাছকে একটি লাভজনক মাছ বলা যায় । 

পাঙ্গাস মাছ

বাংলাদেশের মাছের ভেতর পাঙ্গাস মাছ অনেকের প্রিয় একটি মাছ । অনেক মানুষ এ পাঙ্গাস মাছ পছন্দ করে থাকেন এবং খেতে খুব ভালোবাসেন । পাঙ্গাস মাছ সাধু পানিতে এবং লবণাক্ত পানিতে চাষ করা যায় । যে কোন পানিতে এরা নিজেদেরকে খাপ খাইয়ে নিতে পারে । পাঙ্গাস একটি লাভজনক মাছ । 

সিলভার কার্প 

সিলভার কার্প মাছ বাংলাদেশের চাষকৃত মাছের মধ্যে অন্যতম । সিলভার কাপ মাছের চাহিদাও অনেক । কারণ এই মাছটা খেতে অনেক মানুষ পছন্দ করেন । সিলভার কাপ মাছ গভীর জলে কম জলে এবং যেকোনো পরিবেশে বেঁচে থাকতে পারে । এই মাছ চাষ করে অনেক লাভ করার যায় । 

রুই মাছ

রুই মাছ হল একটি স্থানীয় মিঠা পানির মাছ । এই মাছ চাষ করতে তেমন কোন ধারণা লাগে না বা সেরকম কোন খরচ হয় না । এ মাস্তি অনেক ভিটামিন এবং পুষ্টি যুক্ত মাছ । কম খরচে এই মাছ চাষ করা যায় । এবং লাভও করা যায় অনেক বেশি । 

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক গন আশা করি আর্টিকেলটি পরে মাছ চাষের আধুনিক পদ্ধতি এবং শীতকালে কোন মাছ চাষ করে বেশি লাভ করা যায় এই বিষয়ে জানতে পেরেছেন । মাছ চাষ করার ধারনা পেয়েছেন । এই আর্টিকেলটি পরে যদি উপকৃত হন তাইলে সেয়ার করে দিবেন ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url