খরগোস খাওয়া হালাল নাকি হারাম জেনে নিন ।

     

প্রিয় পাঠক আপনি হয়ত জানতে চাচ্ছেন খরগোশের মাংস  খাওয়া হালাল নাকি হারাম। এবং খরগোশ খাওয়ার হাদিস সম্পর্কে  আমরা সকল তথ্য দিয়েছি আমাদের পোষটিতে । এ বিষয়ে যদি সমস্ত সঠিক তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদের পুরো পোষটটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পরুন। 




খরগোশ খাওয়া হালাল নাকি হারাম এ নিয়ে অনেকের মতভেদ রয়েছে। তো জেনেনিন খরগোশ খাওয়া হালাল নাকি হারাম।

ভুমিকা

খরগোশ হোলো চতুষ্পদ প্রাণী। দেখতে ঠিক বিরালের মতো হয়ে থাকে এরা। কিন্তু আসল কথা হোলো খরগোশের মাংস খাওয়া হালাল নাকি হারাম । আসলে আমরা জানি যে  গরু , ছাগল, হাস , মুরগি, এসব খাওয়া হালাল । কিন্তু এর পাশাপাশি খরগোশের মাংস খাওয়াও হালাল। যেটা হইত আমরা জানতাম না ।হাদিসে এটা হালাল করা হয়েছে। 

খরগোশ খাওয়ার হাদিস 

 মহান আল্লাহর সৃষ্টি অপরুপ সুন্দর । তার মধ্যে মানুষ হোলো সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ এবং সুন্দর। আল্লাহর সৃষ্টি জগতে সকল সৃষ্টই সুন্দর। পশুপাখি , গাছপালা, নদীনালা, পাহারপরবত ইত্যাদি। তার মধ্যে খরগোশ ও আল্লাহরই সৃষ্টি একটি সুন্দর প্রাণী। আমরা মুসলিমরা হালাল হারাম মেনে খাবার খাই, জদিও সবাই সেটা মানে কি না জানিনা। আমাদের মুসলিমদের উচিত যা

 কিছু খাব সেটা যেন হালাল হয়। এবং যেসব জবেহক্রিত বস্তু আমরা খায় সেগুলা যেন আল্লাহর নাম নিয়ে জবাই করা হয়। আর যদি আল্লাহর নাম নিয়ে জবাই না করা হয় তাহলে সেটা হালাল হবে না। সেটা হারাম হবে। আসল কথা হল যে কোনটা হালাল আর কোনটা হারাম আমরা সেটাই জানিনা। তো আসুন আমরা জেনে নিই যে কোন প্রানিগুলা খাওয়া আমাদের জন্য হালাল আর হারাম।

 যেসব প্রানির বড় বড় নখ থাকে , শিকারি দাত থাকে এবং জাদের থাবা আছে, মানে যেসব প্রাণী থাবা মেরে সিকার করে সেসব প্রানিকে মহান আল্লাহ তায়ালা হারাম করেছেন ।যেমন, বাঘ, সিংহ, হায়না, শিয়াল, ইত্যাদি এসব প্রাণী খাওয়া হারাম।আমাদের মুসলিমদের জন্য জায়েয নাই।

 আর যেগুলোকে মহান আল্লাহ তায়ালা হালাল করেছেন , জেগুলর থাবা নাই, শিকারি দাত নাই ,এবং জবাই করার সময় আল্লাহর নাম নিয়ে জবাই করা হয় , সেগুলা খাওয়া আমাদের জন্য হালাল।যেমন, গরু, ছাগল, উট., হাস,মুরগি,কবুতর ইত্যাদি। আবার আসি মূল কথাই যে খরগোশ খাওয়া আমাদের মুসলিমদের জন্য হালাল নাকি হারাম। যদিও বিরাল খাওয়া থিক না ।

 কিন্তু অনেকের মনে প্রশ্ন হতে পারে যে, খরগশ ও ত দেখতে বিরালের মতোয় ।যদিও ২ টা দেখতে কিছুটা একইরকম হলেও , খরগশকে হালাল করা হয়েছে । মহান আল্লাহ তায়ালা খরগোশকে জায়েয করেছেন। এ বিষয়ে অনেক হাদিস রয়েছে। আনাস ( রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন তারা কিছু সংখ্যক লোক এক জাইয়গায় হেটে যাচ্ছিলেন ।

 তারা মাররায যাহরান নামে এক জাইগায় একটা খরগোশকে দেখতে পান। এবং তারা সেটাকে ধরার চেষ্টা করেন এবং একসময় ক্লান্ত হয়ে যাই। অতঃপর তারা সেটাকে ধরে আবু তালহার কাছে নিয়ে জান , এবং তিনি সেটাকে জবাই করেন। তারপর সেটাকে নবী কারিম( সাঃ ) এর নিকট নিয়ে যাই। রাসুল  ( সাঃ ) সকল সাহাবীদের কে উদ্দেশ্য করে বলেন তোমরা আতা খাও।

 অতঃপর তারা সেটাকে খাই। এতে করে বোঝা যাই যে এটা হালাল। অনুরুপ ভাবে আরেক হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে , নাসায়ি শরিফে যে একটি লোক গ্রামে থাকত এবং সে একটি খরগোশ দেখে সেটাকে জবাই করে সেটাকে । তারপর তিনি সেই গোস্ত রাসুল ( সাঃ ) এর নিকট নিয়ে জান এবং নবীজি সেটাকে দেখলেন কিন্তু খেলেন না ।

 জিজ্ঞেস করা হলে তিনি উত্তরে বলেন যেই জিনিস আমরা এলাকাতে দেখতে পাই না সেটাকে আমি খাবনা। খরগোশ চার পায়ী , স্তন্য পায়ি প্রাণী। ইসলামি শরিয়তে খরগোশ খাওয়া হালাল করা হয়েছে । এরকম অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে যেখানে খরগোশকে হালাল বলে ঘসনা করা হয়েছে। কথাও এর বিপরিত কথা পাওয়া জাইনি, যে খরগোশ খাওয়া যাবে না বা খরগোশ খাওয়া হারাম।

 হাদিসে যেহেতু বলা হয়েছে খরগসের মাংস খাওয়া যাবে , সেহেতু নিঃসন্দেহে খরগোশ এর গোস্ত খাওয়া হালাল। 

 খরগোশ খাওয়া কি হালাল নাকি হারাম

  দুনিয়াতে মহান আল্লাহতায়ালা ১৮০০০ মাখলুকাত  সৃষ্টি করেছেন। তারমদ্ধে  সবচেয়ে সেরা হল মানুষ জাতি। এই মানুষ জাতির জিবিকা নির্বাহ এবং খাদ্দের জন্য মহান আল্লাহ তায়ালা অনেক খাদ্দের বেবস্থা করে দিয়েছেন। আর মহান আল্লাহ সাথে সাথে এও বলেছেন যে তোমরা যখন খাবার খাবে তখন তোমরা হালাল খাবার টা গ্রহন কোরো এবং হারামকে বর্জন করো। 

কেননা হারাম খাদ্দে রয়েছে অনেক বালা মসিবত এবং অকল্যাণ। খাবারের মধ্যে আল্লাহ আরও একটি নেয়ামত দিয়েছেন তা হোলো আমিষ জাতিও খাবার। আমিষ জাতিয় খাবার কোনগুলা? আমিষ জাতিয় খাবার হোলো যেমন , মাছ , মাংস, ডিম, আলু, ইত্যাদি। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন যে , আর আমি তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছি চতুষ্পদ জীব এবং জন্তু।

আরও পড়ুন ঃ বাংলাদেশের জাতীয় পাখি দোয়েল কেন বিস্তারিত জানুন।

 আল্লাহর সৃষ্ট পশু পাখির মধ্যে হালাল ও হারাম নিরধারন করে দিয়েছেন। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন , হে মুমিনগণ , আমি তোমাদের জিবিকার জন্য যেসব উৎকৃষ্ট বস্তু দিয়েছি তা থেকে তোমরা খাও এবং শোকর আদাই করো। বাংলাদেশে অনেক রকমের খরগোশের দেখা পাওয়া যায়, যেমন সাদা কালার, কালো কালার, তারপর ডোরাকাটা এবং খয়রি।

 বিভিন্ন জাতের খরগোশ রয়েছে যেমন, দেশি, বিদেশি, নিউজিল্যান্ড সাদা, নিউজিল্যান্ড কাল আরও অনেক। খরগোশের জাতের মধ্যে আরও রয়েছে যেমন লায়ন হেড খরগোশ। এসব খরগোশের মাথার অপর অনেক পশম থাকে জাকে দেখলেই বনের রাজা সিংহের কথা মনে করিয়ে দেই ।

 তাদের অন্নতম একটি গুন রয়েছে জার কারনে তারা খুব সহজেই বন্ধুত্ত করে নিতে পারে , এবং খুব সহজেই প্রসিক্ষন নিতে ও পোশ মানতে পারে। এরা হল নতুন জাতের খরগোশ । এরা সাধারন খরগোশের থেকে আকারে ছোট হয় । এদের ওজন সাধারনত 1.3 থেকে আনুমানিক  1.7  কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব চতুষ্পদ খরগোশ খাওয়া হালাল ।

 এগুলো খাওয়া জায়েয।  আমরা যেহেতু খরগোশের জাত নিয়ে আলোচনা করছি সেহেতু আমাদের জানা উচিত যে আসলে কোন জাতের খরগসের মাংস ভাল এবং খাওয়ার জন্য উপযোগী। তো খরগোশের ভালো মাংসের জন্য নিউজিল্যান্ডের ব্রিড জাতটি সবথেকে ভাল। এই জাতের খরগোশ পুরো বিশ্ব জুড়ে রয়েছে।

 আদের রঙ সাদা কালার হয় এবং এদের মাংস যেমন সুন্দর দেখতে , তেমনি সুন্দর ও সুস্বাদু খেতে এর মাংস। আরও একটি নতুন জাতের খরগোশের বৈশিষ্ট্য পাওয়া যাই, সেটা  হোলো ছিঞ্ছিলা জাতের খরগোশ। এদের দেখতে সম্পূর্ণ সাদা কিন্তু এদের মাথার অপর কালো রঙের স্পট পাওয়া যাই। এদের মাংসও খারাপ না । খরগোশ হোলো একটি জনপ্রিয় ও ক্রমবর্ধমান পোষা প্রাণী । 

আপনি যদি খরগোশ সম্পর্কে  জানতে চান তাহলে অনেক জাতের খরগোশ সম্পর্কে জানতে পারবেন । সারা বিশ্ব জুড়ে খরগোশের ৫০ টি প্রজাতি রয়েছে । তার মধ্যে কয়েকটি প্রজাতির খরগোশ ভারতে পাওয়া যাই । আরও একটি জাতের খরগোশ রইয়েছে জারা বাড়িতে বেশি উত্তেজিত করে। এদের আওয়াজ সুনলে মনে হয় তারা ক্ষুধার্ত ।

 কিন্তু তারা একটি আরামদায়ক পরিবেশ পেলে দ্রুত পরিবেশের একটি অংশ হয়ে যাই। যেকোনো জাতের খরগোশ খাওয়াই যায়। 

 খরগোশের বৈশিষ্ট্য

  খরগোশ হোলো জেনাস লেপাস বাদ দিয়ে লেপরিড  গোত্রের একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী। খরগোশের অনেক জাত রয়েছে ।যা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। একধরনের খরগোশ রয়েছে যাকে ( rabbit )  নামে অব্বহিত করা হয়েছে। এটি ইউরোপিয়ান প্রজাতির খরগোশ। কিন্তু এটি সাধারনের চেয়ে কম পাওয়া যাই।

 খরগোশের আরেকটি  বৈশিষ্ট্য হোলো প্রাক্রিতিক কারনে এর কিছু পরিবরতন হতে পারে।  খরগোশের অনেক জাত রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হোলো  , নিউজিল্যান্ড হোয়িট , কেলিফরনিয়ান, ব্রিড, অ্যামেরিকান চিনচিলা, সিল্ভার ফক্স, সেম্পেইন ডি আর্জেন্ট, ইত্যাদি। নিউজিল্যান্ড হোয়িট , এই জাতের খরগোশ গুলা নিউজিল্যান্ডে পাওয়া যাই। এদের রঙ সাদা।

 এর ওজন ৫.৫ পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর একটি প্রজাতি রয়েছে । যেটা ব্রিড নামে পরিচিত। এর মাংস খুব সুন্দর এবং সুস্বাদু । আরও একটি জাত হলো কালিফরনিয়া। এই জাতের খরগোশের উদ্ভাবন হয়েছে চিনছিলা । এইটা যখন পূর্ণ বয়সে পরিনত হয় তখন এদের ওজন বেরে ৩.৫ থেকে ৫ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। আরও একটি জাত অ্যামেরিকান চিনচিলা।

 এই জাতের খরগোশ গুলো আমেরিকায় পাওয়া যাই। এই জাতের খরগোশ গুলাকে মাংসের জন্যই বেশি প্রাধান্ন দেওয়া হয়।  খরগোশ একটি জনপ্রিয় পোষা প্রাণী । এদের খাবারের সম্পূর্ণ চাহিদা রয়েছে। এরা গাছপালা , সবুজ কচি ঘাস, খড় ইত্যাদি খেয়ে থাকে। একধরনের খরগোশ রয়েছে যেটাকে বলা হয় বামন খরগোশ। এই খরগোশ প্রাণী দোকানির কাছে পাওয়া যাই।

 এরা যখন বড় হয় তখন এদের ওজন ১.৫ থেকে ২ কেজি পর্যন্ত হয়। এই বামন খরগোশ গুলা খেলনা খরগোশ হিসেবেও পরিচিত। এসব খরগোশের দাত নিয়মিত বাড়তে থাকে। এরা যদি দাত দিতে কিছু কেটে না খাই তাহলে তাদের মুখে ও গালে আঘাত লাগতে পারে। তাই এদের নিয়মিত যত্ন ও পরজবেক্ষন করা উচিত। 

  খরগোশ এমন একটি প্রাণী যা যা সারা দুনিয়া জুড়ে এরা অবস্থান করে। এরা পোষা প্রাণী হিসেবেও স্বীকৃতি পেয়েছেন। কারন অনেক মানুষ খরগোশ পছন্দ করেন এবং বাড়িতে খরগোশ পালন করে। খরগোশ মাটিতেই তাদের আবাসস্থল গড়ে তোলে এবং সেখানেই তারা বসবাস করেন । এদেরকে যেখানে রাখা হয় সেখানে তারা সুড়ঙ্গের মত গর্ত করে সেখানে থাকে।

 এবং সেখানেই বাচ্চা দেয়। এরা যেই গর্তের মত জাইগায় থাকে সেখানে ডাল  পালা দিয়ে ঢেকে দিলে তাদের লুকোতে সুবিধা হয় এবং তাদের ক্ষতির সম্ভাবনা কম থাকে। খরগোশ খুব সহজেই মানুষের সাথে বন্ধুরুপে মিলে যাই। এবং যুদ্ধ করতে পছন্দ করেনা যতক্ষন না তার প্রানের হুমকি রয়েছে ততক্ষন।

 আবার যদি সে তার খাঁচার কাছে বা বাসার কাছে থেকে কোনো বিকট অদ্ভুত আওয়াজ শুনতে পাই তাহলে দউরে নিজের বাসস্থানে ঢুকে যাই। খরগোশ যখন প্রাকৃতিক আবাসস্থলে থাকে তখন তার ত্বক ঘন ও নরম হয়ে যায়। তার পেট ও গলা হাল্কা হয়ে যাই এবং ওজন প্রাই ৩ কেজির মত হয় । 

খরগোশ পালনের পদ্ধতি

   খরগোশ পোষা একধরনের শখ। শুধু শখ ই না , মানুষ বর্তমানে খরগোশের খামার ও তৈরি করে। কারা খামার তৈরি করে ? যারা খরগোশের বেবসা করে তারাই খামার বানিয়ে খরগোশ পালন করে। খরগোশ বারিতেও পোষা যাই। বর্তমানে অনেক মানুষ রয়েছে যারা বাড়িতে খরগোশ পোষে। তো যেনে নেওয়া জাক যে বাড়িতে  কিভাবে খরগোশ পোষা যাই, এবং খামারে কিভাবে খরগোশ পুষতে হয়। 

বাড়িতে খরগোশ পোষার কিছু নিয়ম রয়েছে । যদি সেই নিয়ম মেনে কাজ করা যাই তাহলে খুব সহজে এবং খুব কম খরচেই বাড়িতে খরগোশ পালন করা যাই। বাড়ির ছাদে অথবা মেঝেতে খরগোশ পালন করতে চাইলে , ছাদে বা মেঝেতে যেখানে খরগোশ গুলো রাখতে চান সেই জাইগা টা ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি মোটা করে, খড়, তুস অথবা গাছের ছাল বিছিয়ে নিবেন।

 তবে একটা শর্ত , এই উপায়ে খরগোশ ৩০ টির বেশি পোষা যাবে না । ছোট খরগোশের জন্য ২ বর্গফুট এবং প্রাপ্ত বয়স্ক বড় খরগোশের জন্য ৪ বর্গফুট জাইগা থাকতে হবে। নাহলে তাদের থাকতে খুব অসুবিধা হতে পারে। খরগোশকে যদি মাটিতে রাখতে চান তাহলে খুব বেশি জাইগার প্রয়োজন হই না ,

 তারা তাদের মত চলতে বা একটু লাফালাফি করার মত জাইগা পেলেই চলবে। তবে যদি খাঁচাই রাখতে চান তাহলে  পূর্ণ বয়স্ক  পুরুস খরগোশের জন্য ৪ বর্গফুট জাইগা থাকা দরকার। আর যদি মহিলা খরগোশ হয় পূর্ণ বয়স্ক তাহলে তাদের ৬ বর্গফুট জায়গা লাগবে। কারন মা খরগোশ প্রসবের সময় বেশি জাইগা দরকার হয়। 

এবং ছেলে খরগোশ ও মেয়ে খরগসদের আলাদা থাকা ভাল , তানাহলে তারা প্রজননের জন্য মিলিত হয়ে জেতেপারে খুব সহজেই। এবং তাদের খাবারের দিকেও লক্ষ রাখতে হবে। বিভিন্ন জাতের খরগোশের খাবারের তালিকা এমন হওয়া উচিত যে, ১৭ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশ পর্যন্ত ক্রউড খাবার এবং  ফাইবার জাতিও খাবার দরকার ১৪ শতাংশ । 

এবং ২৭০০ কিলো ক্যালোরি  পুষ্টিকর খাবার এবং ৭ কেজি পানি মজুত রাখতে হবে। যেসব খরগোশ প্রাপ্তবয়স্ক তাদের জন্য প্রতিদিন ১৩০ থেকে ১৪৫ গ্রাম পর্যন্ত খাবার দিতে হবে। এবং যেসব খরগোশ বাচ্ছাদের দুধ দেই সেসব খরগোশের জন্য প্রতিদিন খাবার দরকার ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম পর্যন্ত। এবং বাচ্চা খরগোশের জন্য দরকার প্রতিদিন ৯০ গ্রাম খাবার।

  খাঁচা পদ্ধতিতেও খরগোশ পোষা যাই এবং বাণিজ্যিক বিষয়েও বেশ ভালো পদ্ধতি অবলম্বন করা জেতে পারে। যেই খাঁচাতে খরগোশ রাখতে চাই সেই খাচাটা  কেমন হবে এবং কিসের হবে সেটা আগে জানতে হবে। উপরেই বলেছি খাঁচাতে কতটুকু জাইগা প্রয়োজন হয়। আবার জানব খাঁচাটা কেমন হবে । খরগোশ পালনেরর জন্য লোহার পাত দিয়ে তৈরিকৃত খাঁচা ব্যাবহার করতে হবে। 

খাঁচাটা ৩ থেকে ৪ থাকের হতে হবে । এবং প্রতিটি থাকে বড় বড় করে জাইগা করতে হবে খরগোশ রাখার জন্য। খরগোশের খাবার  গুলো হোলো সবুজ কচি ঘাস, তরকারির বাছাইক্রিত নষ্ট অংশ , শস্যদানা , গাজর , মিষ্টি আলু, দুধ , পাউরুটি , গম, ভুসি ইত্যাদি। তো বাসাই খরগোশ পালন করতে চাইলে এসব নিয়ম গুলা অবশই মেনে চলতে হবে।  

খরগোশ খাওয়ার উপকারিতা

 আমরা হইত অনেকেই জানিনা যে খরগোশের মাংস খাওয়া হালাল। হারাম ভেবে আমরা খাইনা। কিন্তু খরগোশের মাংস খাওয়া হালাল। খরগোশের মাংস মানুষের জন্য খুবি উপকারি । এবং এটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। খরগোশের মাংসের  ১৮৩ ক্যালোরিতে রয়েছে ১০০ কিলো ক্যালোরি প্রোটিন। খরগোশের মাংস দেখতে মুরগির মাংসের মতো।

 খরগোশের প্রতি ১০০ গ্রাম মাংসে রয়েছে ১১ গ্রাম চর্বি, এবং পানি প্রাই ৬৭ গ্রাম । এর হজম শক্তি  ( ৯০ % ) ।  এই খরগোশের মাংসে পরজাপ্ত পরিমান ভিটামিন ও মিনারেলস রয়েছে । যা মানুষের শরীরের পক্ষে খুবি ভালো এবং উপকারি। খরগোশের মাংস  প্রচুর পরিমান ভিটামিন ও খনিজ  দিয়ে সমৃদ্ধ রয়েছে।

 খরগোশের মাংসে আছে ভিটামিন - বি, ৪৬.৮ শতাংশ সেলেনিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ত আছে । এবং ২২.৪% ফসফরাস উপস্থিত, যা মানুষের হাড়ের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। খরগোশের বার্ন বা রোস্ট ৪০% ভিটামিন বি এর চাহিদা মিটাই। 

  খরগোশের প্রজনন 

  প্রতিটি প্রানির ই প্রজনন প্রক্রিয়া রয়েছে। তা নাহলে কখনই বংশ বিস্তার হতো না । আর এই প্রজননের মাধ্যমে প্রাণীকুল, মৎস্যকুল, মানবকুল সকলে বংশ বৃদ্ধির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা আজ খরগোশের প্রজনন সম্পর্কে কিছু তথ্য জানব। স্ত্রি খরগোশ পুরুষ খরগোশের চেয়ে আগেই প্রজনন ক্ষমতা লাভ করে।

 স্ত্রি খরগোশ ৫ থেকে ৬ মাসেই প্রজননের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাই। পুরুষ খরগোশও ৫ থেকে ৬ মাসে প্রজনন শুরু করতে পারে, কিন্তু ভালো ভাবে তারা প্রজননে সক্ষম হয় না । পুরুষ খরগোশের পূর্ণ প্রজননে আস্তে প্রায় ১ বছর সময় লাগে। তা নাহলে তারা ভালো মানের বাচ্চা দিতে পারে না । পুরুষ খরগোশের ১ বছর বয়স হলে তাদের প্রজননের জন্য ব্যাবহার করা উচিত।

 প্রজননের জন্য ভালো মানের সাস্থবান  পুরুষ ও স্ত্রি খরগোশ বেছে নেওয়া উচিত। তাহলে প্রজনন ও ভালো হয় এবং ভালো মানের বাচ্চাও আসা করা যায়। 

লেখকের মন্তব্য

খরগোশের মাংস খাওয়া আমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। তাই আমরা নিঃসন্দেহে , কোনো সংকোচ ছারাই এটা খেতে পারব।

 আমাদের আর্টিকেলটি যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই সেয়ার করবেন এবং অন্যকে জানার সুযোগ  করে দিবেন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url