সেন্টমার্টিন দ্বীপের অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন ।

 প্রিয় পাঠক আপনি হয়ত সেন্টমার্টিন দ্বীপের অর্থনৈতিক গুরুত্ব জানতে চাচ্ছেন । এবং সেন্টমারটিন দ্বীপের সন্দর্য সম্পর্কে জানতে চান । তাহলে এই পুরো আর্টিকেলটি আপনার জন্য । এই বিষয়ে পুরো তথ্য জানতে  চাইলে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন ।

সেন্টমারটিন এইটা হলো একটি দ্বীপের নাম ।এবং এটি একটি খুব সুন্দর পর্যটক কেন্দ্র । যেখানে মানুষ ঘুরতে যাই । প্রায় সময় স্কুল কলেজ থেকে  শিক্ষা সফরে বিভিন্ন  দর্শনীয় স্থানে যাওয়ার জন্য জাইগা নির্ধারণ করা হয় । এই সেন্টমারটিন দ্বিপটি হলো তার মধ্যে একটি সুন্দর এবং দর্শনীয় স্থান ।

ভুমিকা

সমুদ্র সৈকত কিংবা দীপ এই ২ টা জাইগা সবার ই ভালো লাগে । সবাই এই জায়গা গুলোতে ঘুরতে জেতে চায় । এর মুলত কারন হলো এর অপরুপ সন্দর্য । এই সন্দর্য দিয়ে জায়গা গুলো মানুষকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করে । সেন্টমারটিন জায়গাটাও একটি মনমুগ্ধ কর জায়গা । যার সন্দর্য ভাষায় বলে প্রকাস করা যাবে না ।

তাই এই সুন্দর ও মনোরম স্থানটির সন্দর্য উপভোগ করার জন্য সেই জায়গায় জেতে হবে । তাহলেই এর আসল অনুভুতি পাওয়া যাবে । সেখান কার উত্তাল আওয়াজ আর শীতল হাওয়া মানুষকে খুবি  আকৃষ্ট করে তোলে ।

  সেন্টমার্টিন দ্বীপের অর্থনৈতিক গুরুত্ব

বাংলাদেশের একমাত্র সুন্দর এবং প্রবল দীপ হচ্ছে সেন্টমারটিন দীপ। এ সেন্টমার্টিন দ্বীপের অর্থনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে অনেক । এই দীপ্ত ি কক্সবাজারের টেকনাফ ফ থেকে প্রায় চোদ্দ কিলোমিটার দক্ষিণ অবস্থিত । এবং এটি মিয়ানমার থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার মত উত্তর ও পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত ।

এই দ্বীপের তলদেশ খুবই সুন্দর এবং মনোমুগ্ধকর জিনিস রয়েছে এই সেন্টমার্টিন দ্বীপের তলদেশে । এই দ্বীপের তলদেশে রয়েছে বিভিন্ন রকমের মাছ এবং সিলিকন ও আরো অন্যান্য জিনিসপত্র । এসব উপাদানগুলো থেকে সেখানকার মানুষজন অনেক আর্থিক আয় করে থাকেন । এছাড় াও এর অর্থনৈতিক দিকটি প্রকাশ পায় । 

এ জায়গাটিতে আগে তেমন মানুষজন বসবাস করত না । কিন্তু 1972 সালে সেখানে প্রায় 120 টি মত বাসস্থান গড়ে ওঠে । এবং কখন থেকে এ পর্যন্ত আস্তে আস্তে জায়গাটা বেশ ঘনবসতিপূর্ণ হয়ে ওঠে । এবং অনেক মানুষ এখানে বসবাস করে । সেখানকার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি মানুষকে বেশি আকৃষ্ট করে তোলে সেটি হচ্ছে সারিসারি নারিকেল গাছ । 

সেখানকার মানুষজন সেই সমুদ্রে মাছ ধরে এবং তাদের জীবিকা নির্বাহ করে । এবং সেখান থেকে ওখানকার যে স্থায়ী চাষীরা রয়েছে তারা বছরে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ মন মত শৈবাল উৎপাদন করে । এই শৈবাল  চাষ করে তারা তাদের পরিবারের চাহিদা পুরন করে থাকে   । শৈবাল দিয়ে অনেক ওষুধ তৈরি হয় । যার জন্য এর চাহিদা অনেক ।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের সৌন্দর্য

সেন্ট মার্টিন এই দীপ্তি বাংলাদেশের ভূখণ্ডের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত । এবং চট্টগ্রাম থেকে প্রায় 120 কিলোমিটার মতো দূরে এই দুটি অবস্থিত । এই দ্বীপের দৈর্ঘ্য ৭. ৩ কিলোমিটার এবং এর আয়তন প্রায় ৮ বর্গ কিলোমিটার । এই দ্বীপে একটি বিশেষ সৌন্দর্য রয়েছে যা হলো সারিসারি নারিকেল গাছ । এই সারি সারি নারকেল গাছ গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগে ।

এবং এই নারিকেল গাছের জন্য সেখানকার স্থায়ী মানুষজন একটা নামও দিয়ে রেখেছেন । নামটি হলো নারিকেল জিনজিরা । এ দ্বীপের পাশে আরো একটি ছোট দ্বীপ রয়েছে যাকে বলা হয় ছেড়া দ্বীপ । বাংলাদেশের কয়েকটি দর্শনীয় স্থানের ভেতর সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অবস্থান খুবই নিকটে  । এই দ্বীপের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য মানুষ ছুটে ছুটে আসে । 

আরও পড়ুন ঃ খাঁটি মধু চেনার উপায় সম্পর্কে জানুন ।

এই জায়গাটা বাংলাদেশে অবস্থিত বলে যে শুধু বাংলাদেশের মানুষেরাই সেখানে যায় তা কিন্তু নয় । বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকরা সেখানে বেড়াতে আসে । এখানকার আরো একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সৌন্দর্য হলো সূর্যাস্ত হতে দেখা । সেখানে যখন সূর্যাস্ত যায় তখনকার মুহূর্তটা খুবই সুন্দর লাগে । আর এসব সৌন্দর্য দিয়ে ই এই দ্বিপটি মানুষকে আকৃষ্ট করে তোলে। 

সেন্টমার্টিন দ্বীপের ইতিহাস

সেন্টমার্টিন দ্বীপের কিছু প্রাচীন এবং পুরনো ইতিহাস রয়েছে । অনেক বছর আগে এই দ্বিপটি সাগরের তলদেশে ডুবে যাই । তারপর এর অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যাই প্রাই ৪০০ বছর পরে । বাংলাদেশের মানুষের কাছে ঘুরে দেখার মত এবং সফরে যাওয়ার মত খুব সুন্দর একটি জায়গা হল সেন্ট মার্টিন দ্বীপ । 

সেন্ট মার্টিন দ্বীপের সর্বপ্রথম কখন শনাক্ত করা হয়েছিল তা এখনো পর্যন্ত সঠিকভাবে কেউ জানে না । তবে তথ্য অনুযায়ী যতটুকু জানা যায় তা হল প্রথমে আরবের কিছু বণিকরা ব্যবসার জন্য সেখানে গিয়ে অবস্থান করত । এবং সেখানে তারা বিশ্রাম নিতো । সেই সময় তারা সেখানকার নাম দিয়েছিল  জিনজিরা । 

যখন এই বণিকরা চট্টগ্রাম থেকে পূর্ব এশিয়ায় ব্যবসার জন্য যাতায়াত করত তখন তারা এই দ্বীপটিতে বিশ্রাম নিতো । কিছু রাখাইন মানুষজন ১৮৯০ সালে সেখানে বস্তি গড়ে তোলেন । যখন তারা সেখানে বসতি স্থাপন করেছিল তখন সেখানে সর্বমোট ১৩ টি পরিবার বসবাস করত । এরপর আস্তে আস্তে সেখানে জনসংখ্যা বাড়তে থাকে এবং ঘনবসতি হয়ে ওঠে । 

তারপর সম্ভবত কিছু বাঙালি সে দ্বীপে মাছ ধরার জন্য যেত এবং সেখানে তার অবস্থান করত । তারা তাদের ক্লান্তি দূর করার জন্য সেখানে কিছু নারিকেল গাছ রোপন করে । আস্তে আস্তে সে গাছগুলো বড় হয়ে এখন সারি সারি নারকেল গাছে পূর্ণ হয়েছে । এবং সেই দ্বীপের উত্তর অংশকে সেখানকার স্থানীয় লোকজন নারিকেল জিনজিরা হিসেবে অভিহিত করেন ।

এভাবে আস্তে আস্তে সেখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং পর্যটন কেন্দ্র হয়ে ওঠে । আর সেখানে দূর দূর থেকে লোক আসে বেড়াতে এবং সেখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করতে । এভাবেই সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ইতিহাসের পাতায় একটি প্রবাল দ্বীপ এবং পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে জায়গা করে নেয় । 

 সেন্টমার্টিন দ্বীপ কেন বিখ্যাত

সেন্ট মার্টিন দীপটি বিখ্যাত হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে । কি কি কারণ রয়েছে সে সম্পর্কে এখন আলোচনা করব । যেকোনো কিছু কিন্তু অল্প সময়ে বা ২-১ দিনেই বিখ্যাত হয় না । সেটা দিনে দিনে অনেক সময় নিয়ে মানুষের মাঝে প্রকাশ পায় এবং সেটা সকলের মাঝে বিখ্যাত হয়ে ওঠে । তো এই সেন্ট মার্টিন দ্বীপের ও বিখ্যাত হওয়ার কিছু কারণ রয়েছে । 

 বাংলাদেশের সৌন্দর্যপূর্ণ অপরূপ প্রবাল দ্বীপ হচ্ছে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ । সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বিখ্যাত হওয়ার একটি কারণ হলো সেখানকার সারি সারি নারিকেল গাছ । এই সারি সারি নারকেল গাছগুলো দেখতে খুবই সুন্দর এবং মনোমুগ্ধকর । সেখানে গেলেই মনকে আকৃষ্ট করে তোলে সেই নারিকেল গাছগুলো ।

আরও পড়ুন ঃ কম্পিউটার আবিষ্কারের ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন ।

এবং সেই দ্বীপে বিভিন্ন ধরনের মাছ রয়েছে । দেশি-বিদেশি এবং আরো অনেক রকমের মাছ সেখানে পাওয়া যায় । আর সেই মাছের জন্য বিখ্যাত বলা হয় । এই দেশি-বিদেশি মাছগুলো সেখানকার বড় বড় হোটেলে অনেক রকম ভাবে রান্না করা হয় । এবং সেগুলো পর্যটকদের খাবার হিসেবে উপস্থাপন করা হয় । 

সেন্ট মার্টিনে একটি বিশেষ খাবার পাওয়া যায় যার জন্যও জায়গাটা বিখ্যাত । আর তা হল সেখানকার নারিকেল । সেই নারিকেলের পানি খুবই সুস্বাদু এবং মিষ্টি । যা খেতে মানুষ খুব পছন্দ করে এবং সেখানে গিয়ে ক্লান্তি দূর করার জন্য সেখানকার ডাবের পানি খেয়ে থাকে মানুষ । এবং এই পানি শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী । 

এইসব বিষয়গুলো বিবেচনা করে সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে একটি বিখ্যাত দ্বীপ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে । আর সেখানকার পর্যটক দিন দিন বেড়েই চলেছে । ঘুরতে যাওয়ার জন্য এবং কাপড় করার জন্য খুবই সুন্দর একটি জায়গা সেন্ট মার্টিন দীপ । আপনারা চাইলেই সেখান থেকে ঘুরে আস্তে পারেন ।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ কোন জেলায় অবস্থিত

সেন্ট মার্টিন দ্বীপে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত। বাংলাদেশের ভূখণ্ড থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে এসে মাটির দ্বীপের অবস্থান । যা এখন বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত । সেন্ট মার্টিন দ্বীপের একটি বিশেষ নাম রয়েছে। সেটা হল নারিকেল জিঞ্জিরা । সেন্ট মার্টিন  দীপ মিয়ানমার থেকে আট কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত । 

আরও পড়ুন ঃওজন কমাতে লেবু পানি খাওয়ার নিয়ম ।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক গন আশা করি সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অর্থনৈতিক  গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে  পেরেছেন । এবং এই দ্বীপের সন্দর্য সম্পর্কেও জানতে পেরেছেন । চাইলে সেখান থেকে ঘুরে আস্তে পারেন । 

আর্টিকেলটি যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যয় সেয়ার করতে ভুলবেন না কিন্তু ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url