ব্লাড ক্যান্সার হলে মানুষ কতদিন বাঁচে - ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণসমুহ

প্রিয় পাঠক ব্লাড ক্যান্সার এমন একটি রোগ যা রোগীর বেঁচে থাকার আশঙ্কা একদমই কমিয়ে দেয় । আপনি যদি ব্লাড ক্যান্সার সম্পর্কে তথ্য জানতে চান তাহলে এ আর্টিকেলটি পড়ুন । এই আর্টিকেলে ব্লাড ক্যান্সার হলে মানুষ কত দিন বাঁচে এবং ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণসমূহ কি কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি । 


আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে ব্লাড ক্যান্সার সম্পর্কিত সঠিক তথ্য খুঁজে পাবেন এবং ব্লাড ক্যান্সার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন । আপনি যদি আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তবেই  জানতে পারবেন যে ব্লাড ক্যান্সার আসলে মারাত্মক একটি রোগ । 

পোস্ট সূচিপত্র ঃ এখান থেকে যে অংশ পড়তে চান , নিচে ক্লিক করুন । 

ভূমিকা

আমরা একটা কথা শুনে থাকি যে ক্যান্সারের কোন অ্যানসার নাই । আসলে কথাটা কতটুকু সত্য তা আমরা জানতে পারবো এ আর্টিকেলটি পড়ার মধ্যে দিয়ে । এ আর্টিকেলে আরো যে সকল বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে তা হলো ব্লাড ক্যান্সার কিভাবে হয়, ব্লাড ক্যান্সার কত প্রকার , এবং ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায় । 

এ সকল তথ্যগুলো যদি আপনি জানতে চান তাহলে মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পোস্টটি পড়ে নিন । ব্লাড ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ থেকে বেঁচে থাকা আমাদের সকলেরই উচিত । ব্লাড ক্যান্সার থেকে বেঁচে থাকতে যে সকল উপায় গুলো অবলম্বন করতে হবে তা এই আর্টিকেলে বিস্তারিত জানানো হয়েছে । 

ব্লাড ক্যান্সার হলে মানুষ কতদিন বাঁচে

ব্লাড ক্যান্সার রোগটি সকলের পরিচিত একটি রোগ । ব্লাড ক্যান্সারকে হেমাটোলজিক্যালও বলা হয় । বিশেষ ধরনের এই ক্যান্সার মানুষের শরীরের প্রতিটি শিরায় শিরায় গিয়ে প্রতিটি কোষ কে প্রভাবিত করে থাকে । ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর বাচা কিংবা মরা এবং তার স্বাস্থ্য সঠিক থাকা পুরোটাই নির্ভর করে তার চিকিৎসার ওপর । 

এবং তার কর্মখণ্ডের উপর । কারণ মানুষ বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড করে থাকে, আর এসব কারণে মানুষের দেহে বিভিন্ন প্রভাব পড়ে । আরে প্রভাব পড়া থেকে শুরু হয় বড় ধরনের রোগ । ব্লাড ক্যান্সার একটি অত্যন্ত জটিল রোগ । এ রোগের হার ক্রমশ বৃদ্ধি হতে পারে তখন যখন ব্লাড ক্যান্সার একটি দরিদ্র পূর্বাভাস হতে পারে । 

রক্তের ক্যান্সার অনেক ধরনের হয়ে থাকে যেমন, লিম্ফোমা, মাইলোমা, লিউকেমিয়া ইত্যাদি । এগুলো এক একটি রক্তের ক্যান্সার । যে সকল ক্যান্সার গুলো শুধুমাত্র রক্তের মধ্যেই দেখা যায় । উল্লেখিত এই ক্যান্সার গুলোর নিজেদের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে । এবং এ সকল ক্যান্সারের কিছু ব্যতিক্রম পূর্বাভাসও দেখা যায় । 

তবে এই ব্লাড ক্যান্সারের অগ্রগতিকে চিকিৎসকরা এবং চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করে এর কিছু সমাধান বের করেছেন । এবং চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা এ রোগের সমাধান বের করে ব্লাড ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর ফলাফল কে আরো উন্নত করে তুলেছে । বিশেষজ্ঞদের টার্গেটেড থেরাপি, ইমিউনো থেরাপি সহ আরো উন্নত মানের  কেমোথেরাপি দিয়ে রোগীকে সুস্থ করে থাকে । 

তাদের এ আবিষ্কার লক্ষ লক্ষ মানুষকে সুস্থ করে তুলতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে । এবং ব্লাড ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীরা খুব দ্রুত সুস্থ হতে পারছে । ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত যে সকল রোগীর রয়েছে তাদের উচিত স্বাস্থ্যসেবা ফাউন্ডেশন এর সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং স্বাস্থ্য সেবা কমপ্লেক্সের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করে একটি উন্নত মানের চিকিৎসা প্রকল্প তৈরি করা । 

আরও পড়ুন ঃ মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট বিস্তারিত

যদিও একটা ব্যক্তির বাঁচা কিংবা মরা সম্পূর্ণটাই নির্ভর করে আল্লাহর উপর । তারপরেও ক্যান্সারের রোগী কেন মারা যায় তা যদি বলতে যায় তাহলে বলব যে একটি ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর কারণ হলো তার শরীরের কোষের মৃত্যু । কারণ ক্যান্সার হলে এক ধরনের কোষ । যা শরীরের ভালো ভালো যে সকল কোস রয়েছে  তা খুব দ্রুত মেরে ফেলে । 

এবং ক্যান্সার কোষ তার ক্ষমতার শক্তিতে নিজের কোষগুলোকে বৃদ্ধি করে তোলে এবং শরীরের অন্যান্য সুস্থকল গুলোকে নষ্ট করে ফেলে । এ কারণে একটি ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী মারা যায় । তবে এর সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা যদি করা যায় তাহলে রোগের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা থাকে অনেকটা । তবে বেঁচে থাকা কিংবা মরে যাওয়া পুরোটাই আল্লাহর হাতে । 

ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণসমুহ 

যদি কোন ব্যক্তি ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় তবে তার মধ্যে কিছু লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায় । নিচে উল্লেখিত করা হয়েছে ব্লাড ক্যান্সারের কয়েকটি লক্ষণ সম্পর্কে । যদি কারো মধ্যে এ সকল লক্ষণগুলো দেখতে পান তাহলে বুঝতে পারবেন তিনি ধীরে ধীরে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে । নিচে সেই লক্ষণ গুলো উল্লেখ করা হলো ঃ 

  • ব্লাড ক্যান্সার হলে ব্যাখ্যাতিক ক্লান্তি এবং শরীরে দুর্বলতা অনুভব হয় । এছাড়া শরীরে শক্তির অভাব হয়ে থাকে । এ সমস্যাটি বিশেষ করে রক্ত কোষের অস্বাভাবিকতার কারণে হয়ে থাকে । একসময় তা রক্তস্বল্পতায় রূপ ধারণ করতে পারে । 
  • ব্লাড ক্যান্সার আক্রান্ত হলে তা রক্তের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় । আর এ কারণে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী খুব দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে । 
  • রক্তের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যখন হ্রাস পায় তখন শরীরে কিছু সংক্রমণের ইঙ্গিত পাওয়া যায় । যেমন নিউমোনিয়া কিংবা মূত্রথলির সংক্রমণ । এই সংক্রমণ যদি কেউ বুঝতে পারে তাহলে তাকে ধরে নিতে হবে তিনি ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত । 
  • খাদ্যের কোন পরিবর্তন কিংবা ব্যায়ামের কোন পরিবর্তন ছাড়াই ব্লাড ক্যান্সার হতে পারে । এটি শরীরের পুষ্টি সঠিকভাবে প্রক্রিয়াকরণ না হওয়ার কারণে হয়ে থাকে । 
  • অনেক সময় ঘাড়ে এবং বগলে ফোলা লিম্ফো বা নোড লিম্ফো  হয়ে থাকে । এটা আসলে ক্যান্সারের একটি লক্ষণ । 
  • শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা কিংবা হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে । তবে সময়ের সাথে সাথে ব্যথার হার ক্রমাগত হতে পারে । এই ব্যথা হওয়ার কারণে ক্যান্সার হতে পারে । এজন্য উচিত দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাওয়া এবং সঠিক পরামর্শ গ্রহণ করা । 

ব্লাড  ক্যান্সার কিভাবে হয় 

ব্লাড ক্যান্সার হওয়ার মূলত আসল কারণ হচ্ছে রক্তের কোষের মধ্যে ডিএনএ এর মিউটেশন পরিবর্তন । রক্তের যে সকল কোষগুলো রয়েছে সে কোষের মধ্যে থাকা ডিএনএ এর মিউটেশন পরিবর্তন হওয়াকে ব্লাড ক্যান্সারের কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় । ডি এন এর এই মিউটেশনের পরিবর্তন রক্তের সঙ্গে অদ্ভুত কিছু আচরণ সৃষ্টি করে । 

যা আমরা এর নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না । এর মূল কারণ আমাদের এটা নিয়ন্ত্রণ করার শক্তি নাই । এই ব্লাড ক্যান্সার হতে নির্দিষ্ট কোন বয়স বা নির্দিষ্ট কোন সময়ের প্রয়োজন হয় না । এই সমস্যাটি যেকোনো বয়সে যেকোনো সময়ে দেখা দিতে পারে । আমাদের দেহে এক ধরনের পদার্থ রয়েছে । যার নাম বোন ম্যারো । 

আরও পড়ুন ঃ কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ-কিডনি রোগী কতদিন বাঁচে

এই বোনম্যারো কিংবা অস্তিমজ্জায় প্রয়োজনীয় রক্ত তৈরি করে । এ রক্ত উৎপাদন হওয়ার কারণ হলো শরীরের প্রয়োজনীয়তা । অর্থাৎ শরীরের প্রয়োজনের জন্যই এর রক্ত উৎপন্ন হয় । বেশ কয়েকটি ধাপে এই রক্ত উৎপন্ন হয়ে শরীরের মূল রক্তে এসে একত্রিত হয় । এ রক্ত আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় উপাদান এবং অক্সিজেন শরীরে বিভিন্ন অংশে পৌঁছে দেয় । 

পেজ সূচিপত্র ঃ আপনার পছন্দ হতে পারে এরকম আরও পোস্ট পড়তে নিচে ক্লিক করুন । 

এ রক্ত উৎপাদনে কোন প্রকার বাধা সৃষ্টি হলে কিংবা অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে সেটাকে বলা হয় লিওকেমিয়া, যা ব্লাড ক্যান্সারের অন্তর্ভুক্ত । এই লিউকেমিয়া ক্যান্সারটি আমাদের রক্তের মধ্যে শ্বেত রক্তকণিকায় দেখা যায় । এজন্য এটাকে শ্বেত রক্তকণিকার ক্যান্সার বলা হয়। এসে তো রক্ত কণিকায় ক্যান্সার হলে তা সঠিকভাবে পরিপক্ক না হয়ে মূল রাখতে এসে মিলিত হয় । 

এর ফলে শ্বেত রক্তকণিকা সঠিকভাবে রোগ প্রতিরোধ করতে পারে না । এজন্য ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগে অতি দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে । এর চিকিৎসা সঠিক সময়ে না করা হলে একপর্যায়ে রবিন মৃত্যুবরণ করে । এজন্য উচিত নিয়মিত চিকিৎসা করা এবং রক্ত পরীক্ষা করা । এতে করে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার রক্ত ঠিক আছে কিনা এবং রক্ত চলাচল সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা । 

ব্লাড ক্যান্সার কত প্রকার 

বর্তমান সময়ে মানুষ বিভিন্ন রোগে প্রতিনিয়ত আক্রান্ত না হয়ে পড়ছে । তার মধ্যে একটি হলো ব্লাড ক্যান্সার । প্রতিবছরে লক্ষাধিক মানুষ ব্লাড ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে । ব্লাড ক্যান্সার মূলত তিন ধরনের । 

  • লিউক্যামিয়া
  • লিম্ফোমা এবং 
  • মাইলোমা 
লিউকেমিয়া

শ্বেত রক্তকণিকায় এক ধরনের ক্যান্সার হয়ে থাকে, যাকে বলা হয় লিউকেমিয়া । এটি শ্বেত রক্ত কণিকায় অস্বাভাবিক কোষ উৎপাদন করে এবং এই কোষ থেকে যে রক্ত উৎপন্ন হয় তা অপুষ্টিকর হয়ে মুল রক্তের সাথে মিলিত হয় । শ্বেত রক্তকণিকায় যে কোষগুলো থেকে রক্ত উৎপন্ন করে তা নিয়মিত অস্বাভাবিক রক্তকণিকার সাথে লড়াই করতে ব্যর্থ হয় । 


নিয়মিত ক্যান্সারের সাথে লড়াই ফাংশন সম্পাদন করতে পারে না এবং তা লোহিত রক্তকণিকার সাথে প্লেটলেট ও তৈরি করতে পারে না । লোহিত রক্তকণিকা এবং তৈরি করার ক্ষমতা এবং অস্তিত্ব মজ্জাও  তার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হয় । এ কারণে  লিউকেমিয়া ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী দিন দিন  অসুস্থ হয়ে পড়ে । 

লিম্ফোমা 

লিম্ফোমার কাজ হল লিম্ফ্যাটিক সিস্টেমকে প্রভাবিত করা । এই লিম্ফফ্যাটিক সিস্টেম টিকে প্রভাবিত করার পর এর কাজ হল শরীরের অতিরিক্ত যে তরল পদার্থ রয়েছে তা বের করে ফেলা এবং ইমিউন নামে একটি কোষ রয়েছে তা তৈরি করা । ক্যান্সার জনিত সংক্রমনের সাথে লড়াই করতে সক্ষম হয় লিম্ফাসাইট এবং শ্বেত রক্তকণিকা । 

ল্যাম্ফোসাইট গুলি অস্বাভাবিক হওয়ার ফলে তা লিম্ফোমা কোষে পরিণত হয় । এরপর সেগুলো লিম্ফ নোড সহ আরও অন্যান্য কোষের সাথে সংখ্যা বৃদ্ধি করতে থাকে । এর ফলে এই কোষ গুলো ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় এবং ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে যায় । 

মাইলোমা 

প্লাজমা কোষের ক্যান্সারকে বলা হয় মাইলোমা । এবং এ প্লাজমা হল শ্বেত রক্তকণিকা , যা দেহের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে এন্টিবডি তৈরি করে । মাইলোমা ক্যান্সার টি বেশিরভাগ বৃদ্ধ বয়সি  লোকদের প্রভাবিত করে থাকে । মাইলো মার লক্ষণ পরিবর্তন হতে পারে তবে তা ক্যান্সারের ধাপ এবং তীব্রতার উপর নির্ভর করে । 

যে সকল লক্ষণগুলো দেখা যায় সেগুলো হলো হাড়ের ব্যথা , রক্তপাত, ওজন কমা , তৃষ্ণা এবং প্রস্রাব বৃদ্ধি ইত্যাদি । এবং এর সাথে বমি বমি ভাব ও দেখা যায় । 

ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা

অনেকে মনে করে ক্যান্সার থেকে বাচার হয়তো কোন উপায় নেই । অনেকের মনে প্রশ্ন থেকে যায় ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাবে কিনা । ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের ক্যান্সারের মাত্রা এবং স্বাস্থ্য এবং রোগীর বয়স অনুযায়ী পরিবর্তনশীল । ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের কিছু চিকিৎসা দেয়া হয় সেগুলো হল ঃ 

কেমোথেরাপি 

এই কেমোথেরাপি নামটা সকলের কাছে পরিচিত । এ পদ্ধতিটি একটি এর সাধারণ চিকিৎসা । এই  থেরাপি ব্যবহার করার ফলে ক্যান্সার কোষগুলো মেরে ফেলে এবং দেহের যে সকল ভাল কষ্ট হয়েছে সেগুলো সুস্থ হয়ে ওঠে । 

আরও পড়ুন ঃ ওজন কমাতে লেবু পানি খাওয়ার নিয়ম বিস্তারিত জেনে নিন

ইমিউনো থেরাপি

এই থেরাপি দেয়ার কারণে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য যে ইমিউন সিস্টেম রয়েছে সেই ইমিউন সিস্টেমের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে । এই ওষুধ ব্যবহারের ফলে ক্যান্সার ক্লান্ত কোষগুলো সুস্থ হয়ে ওঠে এবং ক্যান্সার কোষকা আক্রান্ত করতে ইউনিয়ন সিস্টেমকে জাগিয়ে তোলে । 

লক্ষ্যবস্থথেরাপি

এই থেরাপি যখন কোন রোগীর উপর দেওয়া হয় তখন সেই রোগে যে ক্যান্সারে আক্রান্ত সে ক্যান্সার জনিত কুশুর বৃদ্ধি এবং বিস্তারের যে নির্দিষ্ট পুষ্টি অপাদান বা জিন রয়েছে তা লক্ষ্য করে ।  এবং ক্যান্সার আক্রান্ত কোষকে সুস্থ করতে সাহায্য করে । 

যত্ন 

উপরক্ত থেরাপি গুলো বেবহার করার পরও সেই রোগীকে দেখাশোনা বা সাহায্য সহযোগিতা করার জন্য কারো প্রয়োজন হয় । কারন সুধু সুধু ওষুধ খেয়ে বা বা থেরাপি দিলেই হবে না । তার সাথে একজনের প্রয়োজন যে তার দেখা শনা করবে ।  

আমাদের শেষ কথা 

প্রিয় পাঠকগণ এ আর্টিকেলটিতে ব্লাড ক্যান্সার হলে মানুষ কত দিন বাঁচে এবং ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ সমূহ বিস্তারিত আলোচনা করেছি । আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । আশা করি আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগেছে । এই আর্টিকেলটি থেকে যদি আপনি কোন প্রকার উপকৃত হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই তা অন্যকে জানাবেন । 

এ ধরনের বিভিন্ন পোস্ট পেতে ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখুন । আজকের মত এতোটুকুই । আশা করি ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, এবং ব্লাড ক্যান্সার সম্পর্কে যে সকল তথ্য জানলেন সে সম্পর্কে সঠিক পথ অবলম্বন করবেন । পরবর্তী কোন আর্টিকেলে দেখা হবে ইনশাল্লাহ । আসসালামুআলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ । 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url