চাকরির জন্য সিভি লেখার নিয়ম বাংলায় শিখে নিন

প্রিয় পাঠক ও পাঠিকা , আপনি হয়তো চাকরি করতে ইচ্ছুক । কিন্তু আপনার সিভি সম্পর্কে কোন ধারনা নেই এবং কিভাবে সিভি লিখতে হয় সে সম্পর্কেও জানেন না । আপনি যদি জানতে চান যে কিভাবে সিভি লিখতে হয় তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য । কারণ এ আর্টিকেলে চাকরির জন্য সেভি লেখার নিয়ম বাংলায় এবং সিভি লেখার বিভিন্ন নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে । 

চাকরির-জন্য-সিভি-লিখার-নিয়ম-বাংলায়-শিখে-নিন

আপনি যদি চান যে সিভি লিখা শিখবেন এবং কিভাবে সিভি লিখতে হয় তার সকল নিয়ম কানুন জানবেন তাহলে এ আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ুন । এ আর্টিকেলে সিভি লেখার বিভিন্ন নিয়ম জানানো হয়েছে । 

পোস্ট সূচিপত্র ঃ এই পোস্টের বিভিন্ন অংশ পড়তে চাইলে নিচে ক্লিক করুন । 

সিভি মানে কি

সিভি লিখার আগে আমাদের জানা উচিত, যে সিভি মানে কি ?  সিভি বলতে কী বোঝায় ? এবং কিভাবে সিভি লিখতে হয় সে সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত । কারণ যেকোনো বিষয়ে জানতে হলে কিংবা কোন বিষয়ে কাজ শুরু করতে হলে সেই বিষয়টি সম্পর্কে আগে জানা উচিত । এবং ধারণা রাখা উচিত । 

সিভি একটি ল্যাটিন শব্দ । সিভি এর পূর্ণরুপ হলো কারিকুলাম ভিটা ( Curriculum Vitae ) । এর বাংলা শব্দ হলো জীবন বৃত্তান্ত । একটি জীবন বৃত্তান্ত একজন ব্যক্তির সমস্ত তথ্য দেওয়া থাকে । তার জীবনের সকল দক্ষতা, যোগ্যতা, জন্ম তারিখ, ঠিকানা ইত্যাদি মিলিয়ে জীবন বৃত্তান্ত তৈরি করা হয় । 

সিভি লেখার মূলত বেশ কিছু কারণ রয়েছে । যেমন - চাকরির জন্য, বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য এবং স্কুল ও কলেজে লেখার জন্য । এই সকল কারণে সিভি লেখা হয় ।  কিন্তু  সিভি লেখার বা সিভি তৈরি করার মূল উদ্দেশ্য ও কারণ হলো চাকরি । যেকোনো চাকরির জন্য সর্বপ্রথম সিভি জমা দিতে হয় । তারপর পরবর্তী ধাপগুলো সম্পন্ন করা হয় । 

সিভি লেখার নিয়ম বাংলায়

যেকোনো চাকরির ক্ষেত্রে একটি আবেদন পত্র এর গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট হলো সিভি । যাকে বাংলায় বলা হয় জীবন বৃত্তান্ত । এই সিভির মাধ্যমে আপনি আপনার যে সকল যোগ্যতা গুলো রয়েছে যেমন, প্রফেশনাল যোগ্যতা,শিক্ষাগত যোগ্যতা, আপনার দক্ষতা, আপনার অভিজ্ঞতা ইত্যাদি উপস্থাপন করতে পারেন । 

সিভি বাংলাতেও লেখা যায় এবং ইংরেজিতেও লেখা যায় । কিন্তু এ আর্টিকেলে আমরা দেখব বাংলায় কিভাবে সিভি লিখতে হয় । আধুনিক বাংলায় সিভিলেখার যে সকল নিয়মকানুন গুলো রয়েছে সেই নিয়ম কানুন গুলো যথার্থভাবে সঠিক করে এবং সুন্দর ভাবে সাজিয়ে একটি সিভি সম্পন্ন করতে হয় । সিভি লেখার যে সকল ফরমেট গুলো রয়েছে চলুন সেগুলো দেখে নিই । 

আরও পড়ুন ঃ খুব দ্রুত ইংরেজি শেখার সহজ ১০ টি উপায়

[ নাম ]

[ পেশাদার পদবী ]

[ ঠিকানা ]

[ যোগাযোগের তথ্য ]

[ সিভি দাতার জন্ম তারিখ ]

[ জন্মস্থান ] 

[ প্রয়োজন অনুযায়ী উদ্দেশ্য ] 

শিক্ষাগত যোগ্যতা

 [ ডিগ্রী/সার্টিফিকেট নাম , শিক্ষাগত প্রতিষ্ঠানের এর নাম , শিক্ষাবর্ষ ]

কাজের অভিজ্ঞতা

[ পদের নাম, কর্ম প্রতিষ্ঠানের নাম, সময়কাল ]

দক্ষতা ও বিশেষ কাজ

[ দক্ষতা/বিশেষ কাজ, সময়কাল ]

ব্যক্তিগত গুণ এবং ব্যক্তিগত দক্ষতা

[ গুণ ও বিশেষ দক্ষতা সম্পর্কিত তথ্য ]

উদ্যোগ কিংবা সাফল্যের যোগ্যতা যদি থাকে তাহলে সে যোগ্যতা তুলে ধরবেন । 

রেফারেন্স

[ নাম, কার্যপদবী, কর্ম প্রতিষ্ঠানের নাম, যোগাযোগের ঠিকানা ] 

যখন বাংলায় সিভি লিখবেন তখন আপনি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য এবং ক্যারিয়ার বিষয়ে সকল সঠিক তথ্য এবং যদি সুপারিশকারীর তথ্য থাকে তবে তা উল্লেখ করতে ভুলবেন না । কারণ এই বিষয়টি আপনার নেগেটিভ দিক হিসেবে বিবেচিত হতে পারে । 

চাকরির জন্য সিভি লেখার নিয়ম বাংলায়


চাকরির-জন্য-সিভি-লিখার-নিয়ম-বাংলায়-শিখে-নিন

সিভি মূলত চাকরির জন্যই দেওয়া হয় । একজন চাকরি প্রার্থীর রিপ্রেজেন্টটেটিভ । আপনি যখন একটি সিভি লিখবেন তখন সেই সিভির মধ্যে অবশ্যই আপনার কর্মের যে আগ্রহটা রয়েছে তা প্রকাশ করবেন । কর্মের প্রতি আপনার যে মনোভাব তা সেখানে তুলে ধরবেন । একটি সিভি লেখার সময় নিম্নের নিয়ম গুলো অবশ্যই প্রয়োগ করা উচিত । 

সংক্ষিপ্ত তথ্য প্রদান 

যখন একটি সিভি লিখবেন তখন সেই সিভিটি সংক্ষিপ্ত হলেও তাকে প্রভাবশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো সেই সিভির মধ্যে তুলে ধরবেন । যেমন- ঠিকানা, যোগাযোগের তথ্য, আপনার অভিজ্ঞতা, বিশেষ দক্ষতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং পেশাদার মনোভাব উপস্থাপন করা অবশ্যই জরুরী ।

এতে করে কর্ম প্রতিষ্ঠানের লোকজন বুঝতে পারবে যে আপনার যোগ্যতা কতটুকু এবং আপনি যে কাজ করতে চান বা চাকুরী করতে যান তার প্রতি আপনার মনোবল কি রকম । এজন্য সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো একটি সিভির মধ্যে তুলে ধরা আবশ্যক । 

আকর্ষণীয় লেআউট ব্যবহার করা 

যখন একটি সিভি লিখবেন তখন সেই সিভি লেখার সময় আপনাকে সুন্দর এবং আকর্ষণীয় একটি লেআউট ব্যবহার করতে হবে । সুন্দর মার্জিত, স্বচ্ছ একটি লেআউট ব্যবহার করার চেষ্টা করুন যাতে করে আপনার  সিভি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে । সিভি আকর্ষণীয় করে তুলতে শিরোনাম, শিক্ষাগত যোগ্যতা, কাজের বিশেষ অভিজ্ঞতা, রেফারেন্স ইত্যাদি দিয়ে সুন্দরভাবে সিভিটাকে সাজাতে হবে । 

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নজর দেয়া 

সিভি লেখার সময়, আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোর উপর, এবং গুরুত্বপূর্ণ যে সকল বিষয়গুলো রয়েছে তার প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে । গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট বলতে, আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, এবং এর পাশাপাশি আপনার অভিজ্ঞতাকে বেশি হাইলাইট করার চেষ্টা করতে হবে । 

এবং যদি প্রযুক্তিগত প্রতিষ্ঠানে প্রযুক্তি পদে যোগ দিতে চান সেক্ষেত্রে প্রযুক্তির যোগ্যতা, প্রযুক্তি দক্ষতা এবং প্রযুক্তি বিষয়ক জ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রকল্প সকল বিবরণ উল্লেখ করতে হবে । এছাড়া আপনার যে সকল তথ্যগুলো গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় সেগুলোকে তুলে ধরতে হবে । 

তবে খেয়াল রাখতে হবে অহেতুক কোন তথ্য, কিংবা বেশি বেশি ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে । শুধুমাত্র যেগুলো প্রয়োজনীয় এবং বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সে সকল তথ্যই তুলে ধরার চেষ্টা করবেন । এর বাইরে অতিরিক্ত কোন তথ্য বা অহেতুক কোন তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করবেন না । কারণ এতে সিভির মান কমে যেতে পারে । 

আরও পড়ুন ঃ উৎপাদনমুখী ব্যবসার আইডিয়া - একজন সফল ব্যবসায়ীর গুণাবলী বিস্তারিত

সুন্দর ও মার্জিত ভাষা ব্যবহার করুন

যখন একটি সিভি তৈরি করবেন তখন সেই সিভির মধ্যে স্পষ্ট ও সুন্দর ভাষা ব্যবহার করতে হবে । আপনার আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করলে চলবে না । চাকরির সাথে প্রাসঙ্গিক এবং শুদ্ধ ও মার্জিত ভাষা ব্যবহার করুন। কারণ ভাষার কারণেও একটি সিভির মান কমে যেতে পারে । এজন্য যখন সিভি লিখবেন তখন প্রফেশনাল স্বরে লেখার চেষ্টা করুন । 

ব্যক্তিগত তথ্য তুলে ধরুন 

চাকরির জন্য বাংলা সিভি অনেকাংশে আপনার ব্যক্তিগত ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরে, যেমন নাম, যোগাযোগের ঠিকানা, অভিজ্ঞতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, এবং আপনার দক্ষতা ও অন্যান্য প্রয়োজনে তথ্য তুলে ধরুন । কোম্পানি কিংবা কর্ম প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কর্তার কাছে এ সকল বিষয়গুলো বেশি লক্ষণীয় । 

এবংনিয়োগকর্তার কাছে এই সকল তথ্যগুলো পেশাদার হিসেবে তুলে ধরা সম্ভব শুধুমাত্র সিভির মাধ্যমে । তাই নিজেকে উপযোগী নিয়োগ প্রার্থী হিসেবে প্রকাশ করতে সিভি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম । যা আপনার ক্যারিয়ারকে কর্মস্থলে সুন্দর করে সাজাতে সাহায্য করবে । 

স্বচ্ছতা ও প্রকাশ্য তা 

চাকরি ক্ষেত্রে কিংবা বিভিন্ন নিয়োগ প্রার্থী হিসেবে যখন  সিভি লিখবেন তখন সেই  সিভি হতে হবে আধুনিক সিভি । এবং এই সিভির মধ্যে আপনার ব্যক্তিগত এবং পেশাগত উভয় তথ্য  প্রকাশ করা সম্ভব । যা নিয়োগকর্তার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও লক্ষণীয় বিষয় । তাই একটি প্রকাশ্যেতা ও স্বচ্ছতা সিভি নিয়োগ কর্তার কাছে আপনাকে পেশাদার ও রুচিশীল ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করবে । 

উপরে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সকল তথ্য সঠিকভাবে দিয়ে একটি সিভি সম্পন্ন করতে পারেন । গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের মাধ্যমে একটি সিভি প্রত্যেক নিয়োগ প্রার্থীর কাছে পেশাদার ও মৌলিক দক্ষতার অংশ হিসেবে গণ্য করা হয় । এজন্য সিভিতে সব সময় গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করবেন । 

প্রফেশনাল সিভি তৈরির নিয়ম

চাকরির-জন্য-সিভি-লিখার-নিয়ম-বাংলায়-শিখে-নিন

একজন নিয়োগপ্রার্থী এবং চাকরিপ্রার্থী হিসেবে প্রফেশনাল সিভি তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । কিন্তু অনেকেই মনে করে যে একটি সিভি অনেক বড় করলে মনে হয় সিভি টি বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে ।কিন্তু এই ধারণা একদম ভুল । একটি সিভি আকর্ষণীয় করে তুলতে  সিভির ফরম্যাট, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং স্বচ্ছ ও মার্জিত ভাষায় প্রয়োজন । 

তবেই একটি সিভি সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তোলা সম্ভব । সিভিতে সব সময় সুন্দর ভাষা ব্যবহার করতে হবে । বিশেষ মানবসম্পদ ( HR ) বিশেষজ্ঞ এর মতে মূলত তিনটি কারণে সিভি দেখে নিয়োগ প্রার্থীকে ডাকা হয় না । তিনটি কারণ হলো ঃ ১. গতানুগতিক ধরনের সিভি ২. বানান ভুল ৩. এবং ভুল তথ্য দেওয়ার কারণে । 

এজন্য একটি প্রফেশনাল সিভি তৈরি করার সময় এই বিষয়গুলো অক্ষর রাখতে হবে । একটি সিভি প্রফেশনাল তৈরি করার বেশ কয়েকটি নিয়ম রয়েছে নিম্নে সেই নিয়মগুলো উল্লেখ করা হলো ঃ 

নাম এবং যোগাযোগের ঠিকানা

প্রফেশনাল সিভি তৈরি করার সময় সিভির শুরুতে নিজের নাম ও যোগাযোগের ঠিকানা থাকতে হবে ।তবে সেখানে শিরোনাম দেওয়া ঠিক নয় । শিরোনাম হিসেবে নিজের নাম ব্যবহার করা যেতে পারে ।এবং নামের পাশাপাশি যোগাযোগের ঠিকানা স্পষ্ট ও পরিষ্কার ভাবে লিখতে হবে । ই-মেইল ঠিকানা কিংবা মোবাইল ফোন নাম্বার দেওয়া বাধ্যতামূলক । 

ব্যক্তিগত প্রোফাইল

সিভির একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ব্যক্তিগত প্রোফাইল । কর্মজীবনের প্রতি আপনার লক্ষ্য এবং আপনি কর্ম প্রতিষ্ঠানকে কি দিতে পারবেন তা দুই তিনটি বাক্যে মাধ্যমে লিখে একটি ব্যক্তিগত প্রোফাইল তৈরি করতে হবে । অনেকে আবার ভেবে বসবেন না যে ফেসবুক কিংবা অন্যান্য প্রোফাইলের মত প্রোফাইল তৈরি করতে হবে । 

আপনার ব্যক্তিগত বক্তব্য এবং আপনার মনোভাব সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ করতে হবে । তবে এই তথ্য দুই থেকে তিনটি বাক্যের মধ্যে লিখতে পারলে সব থেকে ভালো হয় । লক্ষ্য রাখতে হবে আপনার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য যেন আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে । 

শিক্ষাগত যোগ্যতা 

একটি সিভিতে শিক্ষাগত যোগ্যতা অবশ্যই দিতে হবে । শিক্ষাগত যোগ্যতা দেওয়ার সময় আপনার ডিগ্রি এবং সার্টিফিকেটের নাম, যে প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রী অর্জন করেছেন সে প্রতিষ্ঠানের নাম এবং কত সালে ডিগ্রী অর্জন করেছেন সেই শিক্ষা বর্ষ দিতে হবে । আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক পরীক্ষা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের নাম লিখতে হবে । 

এবং আপনি যে সকল বোর্ড পরীক্ষাগুলো দিয়েছেন তার ফলাফল GPA সেখানে অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে । শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়া সিভি বাতিল করে দেওয়া হবে । এজন্য শিক্ষকতা সকল তথ্য সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে । 

পেশাগত অভিজ্ঞতা

আপনার পেশাগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে হবে । আপনি কোন বিষয়ে দক্ষ এবং যে বিষয়ে আপনার অভিজ্ঞতা রয়েছে সে বিষয়টি উল্লেখ করতে হবে । আপনি কোথায় কোথায় চাকরি করেছেন সেই তথ্য প্রদান করতে হবে । আপনি যদি এই সিভি জমা দেয়ার পূর্বে কোথাও চাকরি করে থাকেন তাহলে সর্বশেষ যেখানে চাকরি করেছেন সে প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে প্রমানুসারে বাকি যেখানে যেখানে করেছেন সে সকল প্রতিষ্ঠানের নাম লিখবেন । 

সুন্দর ও মার্জিত ভাষা ব্যবহার

একটি সিভিতে যে ভাষাগুলো ব্যবহার করা হবে সে ভাষাগুলো অবশ্যই শুদ্ধ সুন্দর ও মার্জিত হতে হবে । এবং বাক্যগুলো সঠিকভাবে লিখতে হবে যাতে বানান ভুল না হয় । সকল বাক্যের বানানগুলো সঠিকভাবে লিখতে হবে । সিভির ভাষা গুলো যেন সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয় সেই দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে । 

কারণ বানান ভুল হওয়ার কারণে গুরুত্বপূর্ণ সঠিক তথ্য ভুল হয়ে যেতে পারে । তাই এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে লক্ষ্য করতে হবে । 

অন্যান্য দক্ষতা

আপনার ব্যক্তিগত কাজের দক্ষতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদির পাশাপাশি যদি অন্যান্য কোন দক্ষতা থেকে থাকে তাহলে তা প্রকাশ করতে হবে । যেমন প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষতা, কম্পিউটার দক্ষতা ইত্যাদি বিষয়ের দক্ষতা তুলে ধরতে হবে । 

আরও পড়ুন ঃ চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় জেনে নিন

রেফারেন্স

এ বিষয়টি বিশেষভাবে খেয়াল করতে হবে এবং অবশ্যই একটি সিভিতে রেফারেন্স দিতে হবে । নিউ প্রার্থীর পরিচিতি হিসেবে যেকোনো পেশার ব্যক্তির নাম ব্যবহার করতে পারেন রেফারেন্স হিসেবে । তবে যারা সদ্য স্নাতক তারা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের রেফারেন্স হিসেবে দিতে পারেন । তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন যার রেফারেন্স দিবেন অবশ্যই তার অনুমতি নিতে হবে । 

কারণ অনুমতি ছাড়া কারো রেফারেন্স দেওয়া উচিত নয় । তার নাম, মোবাইল নাম্বার, ই-মেইল, এবং তার প্রতিষ্ঠানের নাম করতে হবে । 

অবশ্যই খেয়াল রাখবেন সিভিতে কোন ভুল তথ্য বা বাড়তি কোন অহেতুক তথ্য দেওয়া যাবে না ।শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় তথ্য ব্যবহার করতে হবে । 

সতর্কতা

একটি সিভি সম্পন্ন করার সময় কিছু শর্ত রয়েছে সে সকল শর্ত অবশ্যই মেনে চলতে হবে । সে সকল তথ্যগুলো হল ঃ 

  • যখন সিভি তৈরি করবেন তখন লক্ষ্য রাখবেন যে বিষয়ে বা যে কাজের জন্য সিভি তৈরি করছেন সে অনুযায়ী শিবির লিখবেন । সিভি সব সময় হালনাগাদ রাখবেন । 
  • সিভির ল ফন্ট সব সময় সাধারণ রাখবেন । এর জন্য টাইমস রোমান এবং আরিয়াল ব্যবহার করবেন । 
  • সব সময় লক্ষ্য রাখবেন যেন বানান ভুল না হয় এবং ভাষাগুলো যেন শুদ্ধ হয় । এবং অপ্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সিভি বড় করবেন না । 

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয় ছিল সিভি । আশা করি আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়েছেন ।আপনি যদি আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি অবশ্যই আপনার সমস্যার সমাধান পেয়েছেন এবং কিভাবে বাংলায় চাকরির জন্য সিভি লিখতে হয় তা জানতে পেরেছেন । চাকরির জন্য সিভি লেখার সময় উপরে উল্লেখিত সকল বিষয় সঠিকভাবে উপস্থাপন করবেন । 

আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে । আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন । এবং সকলকে সিভি লেখার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবেন । আশা করি ভালো থাকবেন " ধন্যবাদ " 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url