অফিসিয়াল এবং আনঅফিসিয়াল ফোন চেনার উপায় বিস্তারিত জানুন

 প্রিয় পাঠক, আমরা সকলে স্মার্টফোন ব্যবহার করি । কিন্তু আমরা সকলে জানিনা যে, আমাদের হাতের ফোনগুলো অফিসিয়াল ফোন নাকি আনঅফিসিয়াল ফোন । আপনি হয়তো জানতে চাচ্ছেন অফিশিয়াল এবং আনঅফিসিয়াল ফোন চেনার উপায় কি ? তাহলে আপনি এ আর্টিকেলটি পড়তে পারেন । এই আর্টিকেলে খুব সুন্দর ভাবে দেওয়া আছে অফিসিয়াল এবং আনঅফিসিয়াল ফোন চেনার উপায় গুলো । 

অফিসিয়াল-এবং-আনফসিয়াল-ফোন-চেনার-উপায়

এছাড়াও এ আর্টিকেলটি থেকে জানতে পারবেন অফিশিয়াল ফোনের পার্থক্য কি এবং আনঅফিসিয়াল ফোনের পার্থক্য কি । এ সকল বিষয়ে জানতে চাইলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন । 

পোস্ট সূচিপত্র ঃ অফিসিয়াল এবং আনঅফিসিয়াল ফোন চেনার উপায় । 

  • ভূমিকা 
  • আনঅফিসিয়াল ফোন বন্ধের নোটিশ ২০২৪
  • অফিসিয়াল আনঅফিসিয়াল ফোন চেনার উপায়
  • আন অফিসিয়াল ফোন নিবন্ধন ২০২৪
  • অফিসিয়াল এবং আনঅফিসিয়াল মোবাইল ফোনের সুবিধা এবং অসুবিধা 
  • আনঅফিসিয়াল ফোন কিনলে কি সমস্যা হয় ? 
  • অফিসিয়াল ফোন আর আনঅফিসিয়াল ফোনের পার্থক্য
  • শেষ কথা 

ভূমিকা 

বর্তমান বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ । শুধু বাংলাদেশী নয় সারা বিশ্বের মানুষ এখন আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে । এই আধুনিকতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হল স্মার্টফোন । বর্তমান সভ্যতায় বিশ্বের প্রতিটি মানুষের হাতে হাতে স্মার্টফোন রয়েছে । এবং আমরা সকলে এই স্মার্টফোন সম্পর্কে অবগত রয়েছি । 

কিন্তু একটি লক্ষণীয় বিষয় হলো আমরা যে সকল মোবাইল ফোনগুলো ব্যবহার করি সে মোবাইল ফোন গুলো অফিসিয়াল নাকি আনঅফিসিয়াল মোবাইল ফোন । এখন কথা হল অফিসিয়াল ফোন এবং আনঅফিসিয়াল ফোন চিনবেন কিভাবে ? এই অফিশিয়াল ফোন এবং অফিসিয়াল ফোন চিনতে এই আর্টিকেলটি আপনি পড়তে পারেন । 

এই আর্টিকেলে অফিসিয়াল মোবাইল ফোন এবং আনঅফিসিয়াল মোবাইল ফোন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দেওয়া আছে । আশা করি এখান থেকে মোবাইল ফোন সম্পর্কে অনেক তথ্য আপনি জানতে পারবেন । এবং অফিসিয়াল ওয়ান অফিসিয়াল ফোনের পার্থক্য বুঝতে পারবেন । 

আনঅফিসিয়াল ফোন বন্ধের নোটিশ ২০২৪

আমরা যে সকল মোবাইল ফোনগুলো ব্যবহার করি তার মধ্যে বেশ কিছু সংখ্যক মোবাইল ফোন রয়েছে যেগুলো নিবন্ধন করা নাই । অর্থাৎ এই মোবাইল ফোনগুলোর কোন কাগজপত্র থাকে না । আর এ সকল মোবাইল ফোন গুলোকেই আনঅফিশিয়াল মোবাইল ফোন বলা হয় । কিন্তু এই আনঅফিসিয়াল মোবাইল ফোন গুলো বন্ধের জন্য নোটিশ প্রদান করা হয় । 

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ( বিআরসি ) থেকে জানানো হয় যে বাংলাদেশের যে সকল অবৈধ মোবাইল ফোন গুলো ব্যবহার করা হয় সে সকল মোবাইল ফোন গুলো অতি শীঘ্রই বন্ধ করে দেওয়া হবে । এ তথ্য জানানো হয় ২০২৪ সালের ২১শে জানুয়ারি রবিবার । 

এ তথ্যে জানানো হয় যে বিআরসি জাতীয় পরিচিতি এবং নিবন্ধন করা যে সকল সিম কার্ড রয়েছে তার সঙ্গে ট্যাগিং করে প্রতিটি মোবাইল ফোন নিবন্ধন করা হবে । এবং এই নিবন্ধন করা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি সেবা গ্রহণ এবং বিভিন্ন সেবা দেওয়া হবে । কিন্তু অবৈধভাবে উৎপাদিত বা আমদানি করা হয় যে সকল ফোনগুলো সেগুলো খুব দ্রুত বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে । 

আরও পড়ুন ঃ রিয়েলমি C53 বাংলাদেশ প্রাইস

ছাড়াও ২০২৪ সালের ১৬ই জানুয়ারি টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী জানিয়েছেন যে দেশে অনিবন্ধিত যে সকল ফোনগুলো ব্যবহার করা হয় সে সকল ফোন গুলো যেন বন্ধ করে দেয়া হয় । এর সাথে আরো জানানো হয় যে মোবাইল ফোনের ডাটাবেজ এবং মোবাইল ফোন অটোমেটিক ভাবে রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা রয়েছে বি আর সি এর । 

তাহলে এখান থেকে আমরা বুঝতে পারলাম যে দেশের যে সকল অবৈধ মোবাইল ফোনগুলো রয়েছে সে সকল মোবাইল ফোন গুলো বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক । তাই আমাদের উচিত অবৈধ মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধ করা এবং মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সময় দেখে নিবন্ধিত ফোন ব্যবহার করা । 

অফিসিয়াল আনঅফিসিয়াল ফোন চেনার উপায়

অফিসিয়াল-এবং-আনঅফিসিয়াল-ফোন-চেনার-উপায়

আমরা যে সকল মোবাইল ফোনগুলো ব্যবহার করে থাকি সে ফোনগুলো অফিসিয়াল ফোন নাকি আনঅফিসিয়াল ফোন তা যাচাই করে নেওয়া অত্যন্ত জরুরী এবং এটা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য ।কারণ আমরা যে ফোনটি ব্যবহার করছি তা বৈধ নাকি অবৈধ সে সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই জানতে হবে । 

এই অফিসিয়াল এবং আনঅফিসিয়াল ফোন চেনার জন্য কিছু উপায় রয়েছে । এই উপায় গুলোর মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন যে আপনার হাতের মোবাইল ফোনটি অফিসিয়াল নাকি  আনঅফিসিয়াল এবং যদি আপনি মোবাইল ফোন কিনতে চান তাহলে আপনি যে মোবাইল ফোনটি পছন্দ করেছেন সেটি অফিসিয়াল নাকি আনঅফিসিয়াল তা যাচাই করে নেওয়া জরুরি ।  

২০২৪ সালের শুরুর দিকে এন আই আর এর কার্যক্রম চলমান রাখতে এবং পূর্ণাঙ্গভাবে এর কার্যক্রম চালু করতে খুব শীঘ্রই অবৈধ যে সকল মোবাইল ফোনগুলো রয়েছে তা নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে বিটিআরসি । তাই সকল জনগণের অবগতির জন্য জানানো হয়েছে যে মোবাইল ফোন কেনার আগে তার বৈধতা এবং অবৈধতা যাচাই করে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা । 

আপনারা মোবাইল ফোনের বৈধতা যাচাই করার জন্য মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে KYD<space>15 digite IMEI নম্বর লিখে ১৬০০২ নাম্বারে মেসেজ সেন্ড করবেন । এরপর সেখান থেকে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে যে আপনার মোবাইল ফোনটি বৈধ নাকি অবৈধ । এইভাবে মোবাইল ফোনের বৈধতা এবং অবৈধতা যাচাই করা সম্ভব । 

তবে আপনারা যদি ১৫ ডিজিটের IMEI এই নাম্বারটি যদি আপনার জানা না থাকে তাহলে আপনি আপনার মোবাইল ফোনের পেছনে, অথবা মোবাইল ফোনের প্যাকেট কিংবা মোবাইল ফোনের ব্যাটারির নিচে এই নম্বরটি পেতে পারেন । কিন্তু এরপরেও যদি নাম্বারটি না পান তাহলে *#০৬# এ নাম্বারে ডায়াল করে আপনার ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বরটি সংগ্রহ করতে পারবেন । 

এছাড়াও আপনারা চাইলে মোবাইল ফোনের বৈধতা যাচাই করার জন্য neir.btrc.gov.bd এই ওয়েব লিংকে সার্চ করে এই সাইটে প্রবেশ করার পর সেখানে বিদ্যমান সিটিজেন পোর্টাল এবং মোবাইল ফোন কাস্টমার কেয়ারে গিয়েও আপনারা মোবাইল ফোনের বৈধতা এবং অবৈধতা যাচাই করতে পারবেন । 

তাহলে আশা করি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কিভাবে অফিশিয়াল এবং আনঅফিসিয়াল ফোন চেক করবেন । এবং জানতে পারবেন আপনার মোবাইল ফোনটি অফিসিয়াল ফোন নাকি আনঅফিসিয়াল ফোন । 

আন অফিসিয়াল ফোন নিবন্ধন ২০২৪

আমরা যে সকল মোবাইল ফোনগুলো ব্যবহার করি তার মধ্যে যাদের মোবাইল ফোনগুলো অবৈধ বা আনঅফিসিয়াল ফোন সে ফোনগুলো অবশ্যই নিবন্ধন করে নেওয়া উচিত । কারণ 2024 সালের প্রথমের দিকে সমস্ত অবৈধ মোবাইল ফোন বন্ধের ঘোষণা জানিয়েছেন বিটিআরসি । এজন্য যত দ্রুত সম্ভব আমাদের মোবাইল ফোন গুলো যাদের অবৈধ মোবাইল ফোন রয়েছে তাদের নিবন্ধন করে নেওয়া উচিত । 

মোবাইল ফোন নিবন্ধন করবেন যেভাবে ঃ 

  • সবার আগে neir.btrc.gov.bd এই লিংকে গিয়ে আপনার ব্যক্তিগত যে একাউন্টটি রয়েছে সে একাউন্টটি রেজিস্টার করে নিন । 
  • এরপর সেখানে গিয়ে পোর্টালের স্পেশাল রেজিস্ট্রেশন ( Special Registration )  এই সেকশনে গিয়ে আপনার মোবাইল ফোনের ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বরটি দিতে হবে ।
  • এরপর প্রয়োজনীয় ছবি অথবা স্ক্যান কপি যেমন ঃ পাসপোর্ট এর ভিসা / ইমিগ্রেশন তথ্যাদি, মোবাইল ফোন ক্রয় রশিদ ইত্যাদি সমস্ত ডকুমেন্ট কমপ্লিট দিয়ে আপলোড করুন এবং সেখানে থাকা সাবমিট ( Submit ) বাটনে ক্লিক করে সাবমিট করে দিন । 

যদি আপনার হাতের মোবাইল ফোনটি বৈধ হয় তাহলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়ে যাবে ।কিন্তু যদি আপনার মোবাইল ফোনটি বৈধ না হয় তাহলে এসএমএস এর মাধ্যমে গ্রাহককে জানিয়ে দেওয়া হবে এবং পরীক্ষাকালীন সময়ের জন্য নেটওয়ার্কের সংযুক্ত রাখা হবে । এই পরীক্ষা কালের সময় পার হলে সরকারের  সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে । 

অফিসিয়াল এবং আনঅফিসিয়াল মোবাইল ফোনের সুবিধা এবং অসুবিধা 

আমরা যারা অফিসিয়াল এবং আন অফিসিয়াল মোবাইল ফোন ব্যবহার করি তাদের জন্য বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে এবং এর অসুবিধা রয়েছে কিনা সে সম্পর্কে চলুন জেনে নিই ঃ 

  • অফিসিয়াল মোবাইল ফোন যারা ব্যবহার করে তাদের মোবাইল ফোনটি যদি হারিয়ে যায় কিংবা চুরি হয়ে যায় তাহলে সে মোবাইল ফোনটি ট্রেকিং করে বের করা সম্ভব । কিন্তু আনঅফিসিয়াল মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি প্রযোজ্য নয় । 
  • আপনি যদি অফিসিয়াল মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন বা মোবাইল ফোন কিনেন তবে সে মোবাইল ফোনের আসল মালিকানার নামের জায়গায় আপনার নামটি থাকবে লিখিতভাবে । কিন্তু অফিসিয়াল মোবাইল ফোনের আসল মালিকানার নামটি লিখিতভাবে থাকে না । 
  • অফিসিয়াল বা বৈধ যে সকল মোবাইল ফোনগুলো রয়েছে সেগুলোর দাম সব সময় আনঅফিসিয়াল বা অবৈধ ফোনের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে । 
  • যারা অফিসিয়াল মোবাইল ফোন কিনে থাকে তারা সর্বদাই আসল মোবাইল ফোনটি পেয়ে থাকে । কিন্তু যারা আনঅফিসিয়াল মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তারা সর্বক্ষেত্রে আসল মোবাইল ফোনটি পান না । 
  • যখন আপনি অফিসিয়াল মোবাইল ফোন কিনবেন তখন মোবাইল ফোনের সাথে সকল কাগজপত্র এবং মোবাইলের অরিজিনাল চার্জার পাবেন । কিন্তু আনঅফিসিয়াল মোবাইলের ফোনের কাগজপত্র এবং চার্জার সঠিকভাবে পাওয়া যায় না । 
  • অফিসিয়াল মোবাইল ফোনগুলোতে সকল ধরনের আপডেট পাওয়া যায় কিন্তু আনঅফিসিয়াল মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে সব সময় সকল ধরনের আপডেট পাওয়া যায় না । 
তো এই ছিল অফিসিয়াল মোবাইল ফোন এবং আনঅফিসিয়াল মোবাইল ফোনের সুবিধা এবং অসুবিধা । আশা করি বুঝতে পেরেছেন এবং সর্বক্ষেত্রে অফিসিয়াল মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন । 

আনঅফিসিয়াল ফোন কিনলে কি সমস্যা হয় ? 

আনঅফিসিয়াল মোবাইল ফোনগুলো যখন দেশে আনা হয় তখন সে মোবাইল ফোনগুলোর সরকারি ট্যাক্স বা কর সঠিকভাবে না দিয়ে সরকারের ট্যাক্স ফাকি দিয়ে দেশে এ মোবাইল ফোনগুলো নিয়ে আসা হয় । এই কারণে এ সকল মোবাইল ফোনগুলোকে আনঅফিসিয়াল বা অবৈধ মোবাইল ফোন বলা হয় । 

অফিসিয়াল ফোনগুলোর নম্বর সরকারের ডাটা বেজে সংরক্ষিত থাকে না বা সংরক্ষণ নাই । কারণ এ মোবাইল ফোনগুলো সরকারের ট্যাক্স বা কর ফাঁকি দিয়ে নিয়ে আসা হয় । তাই এই মোবাইল ফোন গুলো নম্বর সরকারের ডাটাবেজে থাকে না । ফোনগুলো সরকারকে সঠিকভাবে ট্যাক্স না দিয়ে অন্যায় ভাবে দেশে নিয়ে আসা হয় । 

যার কারণে এ মোবাইল ফোনগুলো অফিসিয়াল মোবাইল ফোনের তুলনায় অনেক কম দামে বিক্রি করা হয় । যদিও এই মোবাইল ফোনগুলো গ্রাহকদের ক্ষেত্রে অবৈধ নয় । কিন্তু যারা এ সকল মোবাইল ফোনগুলোর ব্যবসা করে থাকে অবৈধভাবে দেশে সকল মোবাইল ফোনগুলো নিয়ে আসে তাদের ক্ষেত্রে এটা চরম অন্যায় । 

আরও পড়ুন ঃ শাওমি সবচেয়ে কম দামি ফোন সম্পর্কে জেনে নিন

এয়ান অফিসিয়াল মোবাইল ফোন গুলোর যদি কোন সমস্যা হয় তখন তা সমাধান করা কঠিন হয়ে পড়ে এবং এ মোবাইল ফোনগুলো যদি হারিয়ে যায় কিংবা চুরি হয়ে যায় তাহলে এ মোবাইল ফোন গুলো আর খুঁজে পাওয়া যায় না । কারণ এর কাগজপত্র এবং এর নম্বর সরকার ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকে না । এর ফলে মোবাইল ফোনগুলো হারিয়ে গেলে ট্র্যাকিং করা সম্ভব হয় না । 

এছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ মোবাইল ফোন গুলো বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন করে তোলে ।। তাই আমাদের উচিত অবৈধ মোবাইল ফোন ব্যবহার না করে সর্বদাই এবং অফিসিয়াল মোবাইল ফোন ব্যবহার করা । যাতে করে যে কোন সমস্যা হলে আমরা খুব সহজে এর সমাধান পেতে পারি । 

অফিসিয়াল ফোন আর আনঅফিসিয়াল ফোনের পার্থক্য

অফিসিয়াল-এবং-আনঅফিসিয়াল-ফোন-চেনার-উপায়

অফিসিয়াল মোবাইল ফোন এবং অফিসের মোবাইলের ফোনের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে । যে পার্থক্যের কারণে আজ অফিসিয়াল ফোনের মান আনঅফিসিয়াল ফোনের চাইতে অনেক বেশি । তবে অফিসিয়াল ফোনের দাম আনঅফিসিয়াল মোবাইল ফোনের চাইতে তুলনামূলকভাবে বেশি । 

এই আনঅফিসিয়াল ফোনের চাইতে অফিসিয়াল ফোনের দাম বেশি হওয়ার কারণ হলো অফিসিয়াল মোবাইল ফোন গুলো যখন দেশের বাইরে থেকে দেশে আসে তখন সে মোবাইল ফোনগুলো সরকারি ট্যাক্স এবং সরকারি কর পরিশোধ করে তারপর সেগুলো দেশে নিয়ে আসা হয় । কিন্তু অফিসিয়াল মোবাইল ফোন গুলো যখন দেশে নিয়ে আসা হয় তখন সরকারি ট্যাক্স না দিয়েই নিয়ে আসে । 

গোপনে এ সকল মোবাইল ফোন গুলো দেশের ভেতর নিয়ে আসা হয় । ফলে এ মোবাইল ফোনগুলোর ট্যাক্স দেওয়া লাগেনা এবং কোন কর প্রদান করতে হয় না । যার কারণে অফিশিয়াল ফোনের চাইতে আনঅফিসিয়াল মোবাইল ফোনের দাম কম । অফিসিয়াল মোবাইল ফোন এবং আনঅফিসিয়াল মোবাইল ফোনের বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে ঃ 

  • অফিসিয়াল মোবাইল ফোন গুলোর দাম সর্বদা বেশি হয়ে থাকে কিন্তু আন অফিসার মোবাইল ফোনের দাম অফিসিয়াল মোবাইল ফোনের চাইতে কম হয়ে থাকে । 
  • অফিসিয়াল মোবাইল ফোনের সমস্ত ডকুমেন্ট কাগজপত্র এবং মোবাইল ফোনের চার্জার সহ সমস্ত কিছু দিয়ে থাকে কিন্তু অফিসিয়াল মোবাইল ফোনের শুধুমাত্র মোবাইল ফোন ছাড়া আর কোন কিছু পাওয়া যায় না । 
  • অফিসিয়াল মোবাইল ফোন গুলো যদি হারিয়ে যায় তাহলে ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে মোবাইল ফোন গুলো খুঁজে পাওয়া যায় কিন্তু অফিসিয়াল মোবাইল ফোনের যেহেতু কোন ডকুমেন্ট থাকে না তাই এই মোবাইল ফোনগুলো ট্রাকিংও করা যায় না । ফলে আনঅফিশিয়াল মোবাইল ফোন গুলো পরবর্তীতে আর খুঁজে পাওয়া যায় না । 
  • অফিসের মোবাইল ফোন গুলোর ওয়ারেন্টি কার্ড থাকে যার ফলে ওয়ারেন্টি কার্ডের মেয়াদ থাকা পর্যন্ত যদি মোবাইলের কিছু হয় কোন সমস্যা হয় তাহলে তারা বিনামূল্যে সার্ভিসিং করে দেয় । কিন্তু আন অফিসিয়াল মোবাইল ফোনের কোন ওয়ারেন্টি কার্ড থাকে না তাই এ মোবাইল ফোন গুলো নষ্ট হলে বা সমস্যা হলে এগুলোকে মূল্য দিয়ে সার্ভিসিং করাতে হয় । 
  • আন অফিসিয়াল মোবাইল ফোন গুলোর ঝুঁকি থাকে কিন্তু অফিসিয়াল মোবাইল ফোনের কোন প্রকার ঝুঁকি বা দুসচিন্তা থাকে না । 

শেষ কথা 


প্রিয় পাঠকগণ আজকে অফিসিয়াল এবং আনঅফিসিয়াল ফোন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য এ আর্টিকেল এর মধ্যে জানানো হয়েছে এবং অফিসিয়াল এবং আনঅফিসিয়াল মোবাইল ফোন চেনার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কেও এখানে জানানো হয়েছে । আশা করি আর্টিকেলটি আপনারা সম্পূর্ণ পড়েছেন এবং অফিসিয়াল এবং অফিসিয়াল মোবাইল ফোন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে পেরেছেন । 

আমি সকলের উদ্দেশ্যে সর্বদা একটি কথা বলব যে আপনারা যখনই ফোন ব্যবহার করবেন বা মোবাইল ফোন কিনবেন তখন অবশ্যই মোবাইল ফোনের বৈধতা যাচাই করে মোবাইল ফোন কিনবেন ।কারণ কম দামে অবৈধ ফোন কিনে ঝুঁকির মধ্যে পড়ার চাইতে অফিসিয়াল ফোন কিনে চিন্তামুক্ত থাকায় ভালো । 

আজকের মত এই পর্যন্তই । আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে ।আর্টিকেলটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন এবং এরকম আরো বিভিন্ন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি প্রতিদিন ভিজিট করবেন । ধন্যবাদ । 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url