সেভিংস একাউন্ট এর জন্য কোন ব্যাংক ভালো বিস্তারিত দেখুন

বর্তমানে অনেক মানুষ রয়েছে যারা ব্যাংকে টাকা রাখেন । ব্যাংকের টাকা রাখা কে মনে করেন যে নিরাপদ । কিন্তু আপনাদের এই বিশ্বস্ততার মূল্য দেয় কয়টা ব্যাংক । সকল ব্যাংকের প্রতি ভরসা পাওয়া যায় না । এজন্য জেনে রাখুন সেভিংস অ্যাকাউন্ট এর জন্য কোন ব্যাংক সব থেকে ভালো । এবং কোন ব্যাংকের নিরাপত্তা বেশি ।  

সেভিংস-ব্যাংক-একাউন্ট-খোলার-জন্য-কোন-ব্যাংক-ভালো

আপনি যদি চান আপনার অ্যাকাউন্ট সেভ রাখতে এবং আপনার ব্যাংক একাউন্ট নিরাপদ রাখতে তাহলে অবশ্যই বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য ব্যাংকে আপনার টাকা পয়সা রাখবেন । আর এই বিশ্ব ব্যাংক কোনগুলো তা জানতে পারবেন এই আর্টিকেলটি থেকে । 

পোস্ট সূচিপত্র ঃ সেভিংস  একাউন্ট  সম্পর্কে  বিস্তারিত ।

সেভিংস একাউন্ট এর জন্য কোন ব্যাংক ভালো 

বাংলাদেশের যে সকল জনপ্রিয় ব্যাংকগুলো রয়েছে সে সকল ব্যাংকগুলোতে আপনি যদি সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে চান তাহলে আপনাকে সব থেকে বিশ্বাসযোগ্য এবং সুবিধা সম্পন্ন একটি ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট খুলতে হবে । কিন্তু আপনি যদি না জানেন যে কোন ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট করলে সব থেকে বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে, তবে আপনি সঠিক জায়গা খুঁজে পাবেন না । 

আর সঠিক জায়গা বা সঠিক সেভিংস একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে আগে জানতে হবে যে কোন ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট খোলা যায় । এবং কোন ব্যাংক থেকে সব থেকে বেশি সুবিধা এবং নিরাপত্তা পাওয়া যায় । অনেকের মতে দেখা গেছে যে অনেকে বলেছে সোনালী ব্যাংক থেকে সেভিংস একাউন্ট খুললে সব থেকে বেশি সুবিধা পাওয়া যায় । 

আবার অনেকে বলছে যে , গ্রামীণ ব্যাংকে, ইসলামী ব্যাংকে, ব্র্যাক ব্যাংকে এবং অনেকে পূবালী ব্যাংকের কথাও উল্লেখ করেছেন । তবে সবথেকে ভালো এবং সঠিক সমাধান হলো আপনার যে ব্যাংকে সুবিধা মনে হবে এবং যেই ব্যাংক আপনার কাছে নিরাপদ মনে হবে আপনি সেখানেই সেভিংস একাউন্ট খুলবেন । 

তবে আপনার নিকটবর্তী যদি কোন ব্যক্তি থেকে থাকে যে এ সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে পারবে তাহলে তার কাছ থেকে মতামত গ্রহণ করে সেভিংস একাউন্ট খোলা সবথেকে ভালো হবে । এবং সব থেকে ভালো সুবিধা সম্পন্ন ও নিরাপদ ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট খুলে রাখতে হবে । 

ইসলামী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা 

আপনি যদি ইসলামী ব্যাংকের অধীনে সেভিংস একাউন্ট খুলতে চান তাহলে আপনি বিশেষ কিছু সুবিধা পাবেন । ইসলামী ব্যাংক এর অধীনে যে অ্যাকাউন্ট করা হয় মূলত সে একাউন্টের ধরনের মধ্য থেকে একটি অংশ হল সেভিংস  একাউন্ট । দেশের বিভিন্ন মানুষ রয়েছে যারা একেক জন একেক রকম ভাবে একাউন্ট খুলে থাকেন । 

এবং ভিন্ন ভিন্ন ব্যবহারকারী ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে এবং ভিন্ন ভিন্ন রকমের ব্যাংকে একাউন্ট তৈরি করে থাকে । আর এ সকল ব্যবহারকারীদের ভিন্ন ভিন্ন ব্যাংক একাউন্টের সুযোগ করে দিচ্ছে ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড । এছাড়া আপনি যদি ইসলামী ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট খুলেন তাহলে সেখান থেকে আপনি  ৩.৫% হারে মুনাফা পেতে থাকবেন । 

আরও পড়ুন ঃ চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় জেনে নিন

তবে এই মুনাফা প্রতি ৬ মাস পর পর দেওয়া হয় । এবং আপনি যে ৩.৫% মুনাফা পাচ্ছেন এ মুনাফার উপর সরকারি প্রায় ১৫ % ভ্যাট কার্যকর করা হয় সরকার থেকে । এবং ইসলামী ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট খোলার পর তারা আপনার থেকে প্রতিমাসে ৭.১ % ভ্যাট কাটে যা প্রায় ৫৭ টাকার মত । তবে এ বিষয়ে যদি আপনার আরো কিছু জানার থাকে তাহলে আপনি সরাসরি ইসলামী ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন । 

সিটি ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট এর সুবিধা 

আপনাদের মাঝে কেউ যদি চান যে সিটি ব্যাংককে সেভিংস একাউন্ট খুলবেন তাহলে আপনারা চাইলে সেখান থেকে সেভিংস একাউন্ট খুলে নিতে পারেন । কারণ সিটি ব্যাংক এমন কিছু সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে যা অন্য ব্যাংকের থেকে উন্নত এবং নিরাপদ । এই সুযোগ-সুবিধা ব্যবহারকারীদের কে দিয়ে থাকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ । 

আর এই সুযোগ-সুবিধা গুলো দেওয়ার কারণ হলো যাতে করে জনগণ নিরাপদ ভাবে এবং বিশ্বস্ততার সাথে সিটি ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট খুলতে পারে । এতে করে তাদের ব্যাংকের মান মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে এবং জনগণ ও ব্যবহারকারীরা নিরাপদে এবং নিশ্চিন্তে থাকতে পারবে । এছাড়াও বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে সেগুলো হল ঃ 

  • আপনি যদি সেটা ব্যাংক থেকে সেভিংস একাউন্ট খুলেন এবং সেখান থেকে লোন নেন তাহলে আপনাকে ৯ পার্সেন্ট থেকে ১৪% পর্যন্ত ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে সুদ দেওয়া লাগবে । 
  • আপনি যদি কম টাকা লোন নেন তাহলে আপনার সুদের পরিমাণ একটু বেশি হবে এবং যদি বেশি টাকা নেন তাহলে সুদের পরিমাণ কম হবে ।  
  • সিটি ব্যাংক থেকে সেভিংস একাউন্ট খুললে অন্যান্য ব্যাংকের থেকে একাউন্টের সার্ভিস চার্জ অনেকটা কম দিতে হয় ।  
  • অন্যান্য ব্যাংকে শতকরায় ১০ টাকা করে সেভিংস চার্জ দিতে হয় ।  কিন্তু সিটি ব্যাংকের সেভিং চার্জ ৬ টাকা করে দিতে হয় । 
  • আপনি যদি চান এখান থেকে আপনি প্রতি মাসে মুনাফা নেবেন তাহলে তারা যথাযথভাবে আপনাকে আপনার মুনাফা বুঝিয়ে দিবে । 
  • এছাড়াও যদি আপনি অ্যাকাউন্ট খোলেন তাহলে আপনি ৫,০০০ থেকে শুরু করে আপনার ইচ্ছামত অনেক টাকা রাখতে পারবেন । 
এ সকল সুযোগ-সুবিধা গুলো দিয়ে থাকে সিটি ব্যাংক লিমিটেড । আপনি যদি চান যে সেটি ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট খুলবেন তাহলে আপনি এ সকল সুবিধা গুলো পাবেন । এবং এ সকল সুবিধা গুলো আপনাকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দিতে বাধ্য থাকবে । 

সেভিংস একাউন্ট ইন্টারেস্ট রেট 

সেভিংস-ব্যাংক-একাউন্ট-খোলার-জন্য-কোন-ব্যাংক-ভালো

সেভিংস অ্যাকাউন্ট ইন্টারেস্ট রেট  বলতে বোঝায় ব্যাংকে সেভিংস একাউন্টে প্রতি তিন মাস পর পর অথবা ছয় মাস পর পর সুদের কিছু পারসেন্ট সেই একাউন্টে জমা হয় । আর এই সুদের হার সাধারণত ৩  থেকে ৪ শতাংশ হয়ে থাকে । একাউন্টে যখনই
টাকা পাঠানো হয় বা জমা করা হয় তখনই এই সুদের হার সেভিংস একাউন্টে জমা হয়ে যায় । মূলত এটাকেই সেভিংস একাউন্ট ইন্টারেস্ট রেট বলা হয় । 

যারা ব্যাংকে একাউন্ট খুলে রেখেছেন তাদের ক্ষেত্রে সেভিংস অ্যাকাউন্ট ইন্টারেস্ট রেট গ্রহণযোগ্য  একমাত্র তারাই এই অফারটি গ্রহণ করতে পারবে যাদের ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট খোলা আছে ।তবে এটি গ্রহণযোগ্য নয় তাদের ক্ষেত্রে যারা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে থাকে । এটি শুধুমাত্র ব্যাংকে টাকা জমানোর ক্ষেত্রে দেওয়া হয় । 

এই সেভিংস একাউন্টে সুদের হার যেভাবে গণনা করা হয় তা হলো আরবিআই ( RBI ) এর নিয়ম অনুযায়ী আপনার ক্লোজিং ব্যালেন্সের ওপর নির্ভর করে বা আপনার ক্লোজিং ব্যালেন্সের উপর ক্যালকুলেশন করে প্রতিদিন এই সেভিংস ইন্টারেস্ট রেট বা সুদের হার গণনা করা হয় । ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নিয়ম অনুযায়ী এই সুদের হার প্রতি ৩ মাস অথবা ৬ মাস পর পর দেওয়া হয় । 

সেভিংস একাউন্ট চার্জ 

যখন আমরা কোন ব্যাংকের সেভিংস একাউন্ট করে থাকি তখন সেখানে বিভিন্ন কাজকর্ম করতে হয় ।এবং বিভিন্ন কাজকর্ম সম্পন্নভাবে এবং সঠিকভাবে কমপ্লিট করে তারপর একটি সেভিংস একাউন্ট কার্যকর করা হয় । কিন্তু যখন এই সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলা হয় তখন বিভিন্নভাবে এবং বিভিন্ন জায়গায় চার্জ দিতে হয় । 

উদাহরণস্বরূপ , আমরা যখন পার্কে যাই তখন কিন্তু প্রথমে আমাদেরকে টিকিট কেনা লাগে । তারপরে আমরা সেখানে ঢুকতে পারি । তেমনি ভাবে ব্যাংকে একাউন্ট খোলার সময় আপনাকে একটি চেক বুক দেওয়া হয় । যদি আপনার সেই চেকব ফুরিয়ে যায় কিংবা শেষ হয়ে যায় আর সেটি যদি আপনি পুনরাবার কিনতে চান তখন আপনার থেকে ৫০ টাকা কিংবা ১০০ টাকা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কেটে নেয় । 

আরও পড়ুন ঃ ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০ - ২০০০০ টাকা প্রতি মাসে

ব্যাংকে যখন টাকা জমা দেওয়া হয় তখনও চার্জ কাটে এবং আপনি যদি মনে করেন যে আপনার অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেবেন সে ক্ষেত্রেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কিছু পরিমাণ চার্জ কেটে নিবে ।এমনিভাবে বিভিন্ন উপায়ে ব্যাংকে টাকা রাখলে বা টাকা জমা করলে বিভিন্ন ভ্যাট, ট্যাক্স ও চার্জ দিতে হয় । দেখুন কোন কোন মাধ্যমে বা কোন কোন কাজ করার মাধ্যমে চার্জ কাটা হয় ঃ 

  • অ্যাকাউন্ট ওপেনিং এর সময় । অর্থাৎ যখন আমরা অ্যাকাউন্ট খুলি তখন চার্জ কাটা হয় । 
  • চেকবুক ইস্যুর সময় । 
  • এভারেজ মান্থলি ব্যালেন্স যদি মেন্টেন না করা হয় তাহলে চার্জ কাটে । 
  • যদি কারও ডুপ্লিকেট পাস বই এর প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রে চার্জ নেওয়া হয় ।। 
  • ডেবিট কার্ড বা এটিএম কার্ড ব্যবহার করার ক্ষেত্রে । 
  • যখন চেক কালেকশন করা হয় তখন চার্জ কাটা হয় । 
  • ক্যাশ ট্রানজেকশন এর সময় । 
  • ফোন ব্যাংকিং করার সময় । 
  • যদি কেউ ব্যাংক থেকে ডোর স্টেপ এর সুবিধা নিতে চাই তখন চার্জ কাটা হয় । 
  • আপনার একাউন্ট বন্ধ করতে চাইলে সেক্ষেত্রেও ও চার্জ কাটা হয় । 
এ সকল ক্ষেত্রে আপনার একাউন্ট থেকে চার্জ কাটা হয়। এর মধ্যে কয়েকটা মাধ্যম রয়েছে যেগুলো অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে জন্য এবং যদি আপনারা কেউ সুবিধা নিতে চান সে ক্ষেত্রে কিছু কিছু চার্জ না হয় । সে উপায় গুলো এখানে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে । 

অনলাইনে সিটি ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম 

আগে যদি কেউ ব্যাংক একাউন্ট করতে চাই তো তবে তাকে অবশ্যই অফিসে যাওয়া লাগত এবং অফিসে গিয়ে সমস্ত ডকুমেন্ট সঠিকভাবে প্রদান করে তারপর ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হতো । কিন্তু জনগণের সুবিধার্থে এখন অনলাইনে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম চালু করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ।যাতে করে আপনি ঘরে বসেই ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারেন । 

অ্যাকাউন্ট খোলার সময় ৩ টি  ডকুমেন্ট প্রয়োজন সেগুলো হল ঃ 

  1. আবেদনকারীর এন আই ডি কার্ড ।
  2. নমিনির জাতীয় পরিচয় পত্র ।
  3. এবং নমিনির ছবি । 
সিটি ব্যাংক একাউন্ট খোলার ধাপসমূহ ঃ 

  • Open an individual account নির্বাচন করুন ঃ প্রথমে আপনাকে সিটি অ্যাকাউন্ট অ্যাপসটি প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড দিয়ে নিতে হবে । এরপর সেখান থেকে Open an individual account অপশনটি নির্বাচন করে নিতে হবে । 
  • মাসিক লেনদেন নির্বাচন করতে হবে ঃ আপনার মাসিক লেনদেন কেমন হবে বা কত টাকা হবে সেটি নির্বাচন করতে হবে । আপনার মাসিক লেনদেন যদি এক লক্ষ টাকা বা তার চেয়ে কম হয় তাহলে আপনাকে এক্সট্রা ভাবে কোন ডকুমেন্ট দেওয়া লাগবে না । 
  • মোবাইল নম্বর ভেরিফিকেশন ঃ আপনার মোবাইল ফোন নম্বর দিতে হবে এবং সেখানে একটি OTP দেওয়া হবে আপনাকে । এরপর next অপশন থাকবে সেখানে চাপ দিয়ে নেক্সট করতে হবে । 
  • এনআইডি আপলোড ঃ আপনার ভোটার আইডি কার্ডের সামনের এবং পেছনের দুই অংশের ছবি দিতে হবে ।  
  • আবেদনকারীর পিক আপলোড ঃ যার নামে একাউন্ট খুলবেন বা যিনি আবেদন করবেন তার নিজের একটি ছবি দিতে হবে । 
  • পেশা নির্বাচন করুন ঃ আপনি কোন পেশার সাথে জড়িত রয়েছেন সেই পেশা নির্বাচন করে সেখানে বসাতে হবে । 
  • আবেদনকারীর ঠিকানা ঃ আপনি আবেদন কারী হয়ে থাকলে আপনার ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে । 
  • ই-মেইল আইডি দিন ঃ আপনার যদি ই-মেইল আইডি থাকে তাহলে সেটি দেবেন আর যদি না থাকে তাহলে ই-মেইল আইডি খুলে নিবেন তারপর সেখানে ই-মেইল আইডি দিয়ে দিবেন । 
  • নমিনির পরিচয় ঃ যাকে আপনি নমিনি করতে চান তার সকল পরিচয় এবং পরিচয় পত্র, আপনার সাথে তার কি সম্পর্ক , এবং নমিনির ছবি দিতে হবে । 
  • একাউন্টের ধরন এবং শাখা নির্বাচন ঃ একাউন্টের ধরনের নির্বাচন করুন এবং নিকটস্থ যে শাখা রয়েছে সেই শাখা নির্বাচন করুন । এরপর সেখানে একটি শর্তাবলী বক্স রয়েছে সে বক্সে চাপ দিয়ে আপনার অ্যাকাউন্ট খোলার কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে । আপনার একাউন্টে খোলা হয়ে গেলে আপনার মোবাইল নম্বরে এবং আপনার ই-মেইল এড্রেসে এসএমএস যাবে । সেখানে তারা জানিয়ে দিবে যে আপনার একাউন্টে সফলভাবে খোলা হয়েছে । 
এ নিয়ম গুলো মেনে আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে সিটি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হবে ।  আশা করি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে অনলাইনে সিটি ব্যাংক একাউন্ট খুলবেন  ।  যদি একাউন্ট খুলতে না পারেন বা কোন সমস্যা হয় তাহলে ইউটিউবে ভিডিও দেখে নিতে পারেন  । 

লেখকের শেষ কথা 

প্রিয় বন্ধুগণ আজকের আর্টিকেলটি থেকে আমরা ব্যাংক সম্পর্কিত অনেক তথ্য জানলাম । সেভিংস একাউন্ট এর জন্য কোন ব্যাংক সবথেকে ভালো হবে  । তারপর কোন ব্যাংকে সুদের হার কেমন ।সেভিংস একাউন্ট খোলার চার্জ রেট কত । সেলস একাউন্ট ইন্টারেস্ট কত বা কিভাবে এটি নির্ধারণ করা হয় এ সকল কিছু জানলাম এই আর্টিকেলটি থেকে । 

আশা করে আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগেছে এবং আর্টিকেলের সকল বিষয় বস্তু সঠিকভাবে বুঝতে পেরেছেন । যারা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চান বা খুলেছেন তাদের ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো । তবে আমার মতে আমি বলব যে শুধু যেহেতু ইসলামে হারাম সেহেতু সুদ না নিয়ে যদি পারেন তাহলে ব্যাংকে টাকা জমানোর চেষ্টা করবেন । 

আর আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন । এবং বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল পেতে এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন । ধন্যবাদ ভালো থাকবেন । 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url