উইন্ডোজ কি কত প্রকার ও কি কি বিস্তারিত যেনে নিন

প্রিয় বন্ধুগণ আপনারা হয়তো উইন্ডোজ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানার চেষ্টা করছেন ।এবং উইন্ডোজ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান খুঁজছেন । তাহলে আজকের এ আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । এই আর্টিকেলে উইন্ডোজ কি কত প্রকার এবং কি কি সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি । 

উইন্ডোজ-কি-কত-প্রকার-ও-কি-কি-বিস্তারিত

এই সকল বিষয়ে জানতে এবং উইন্ডোজ সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন । তাহলে উইন্ডোজ সম্পর্কিত সকল তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন । 

পোস্ট সূচিপত্র ঃ উইন্ডোজ কি কত প্রকার ও কি কি বিস্তারিত । 

উইন্ডোজ কি 

উইন্ডোজ একটি চিত্রভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম । এ অপারেটিং সিস্টেম এর মাধ্যমে চিত্রের ওপর ক্লিক করে বিভিন্ন কাজ করা হয় । যদি সংক্ষেপে বলি তাহলে উইন্ডোজ একটি মাইক্রোসফট অপারেটিং সিস্টেম । 

মাইক্রোসফট উইন্ডোজ হলো মাইক্রোসফট কর্পোরেশন দ্বারা তৈরি এবং বিকৃত গ্রাফিক্যাল অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা তৈরি একটি পরিবার । মূলত এই উইন্ডোজ ডেক্সটপ এবং ল্যাপটপে ব্যবহার করা হয় ।বর্তমান বিশ্বের প্রতিটি ব্যক্তিগত ডেস্কটপ বা ল্যাপটপে এই মাইক্রোসফট অপারেটিং সিস্টেমটি ব্যবহার করা হয় । 

উইন্ডোজ কত প্রকার ও কি কি

উইন্ডোজ-কি-কত-প্রকার-ও-কি-কি-বিস্তারিত

আমরা যে উইন্ডোজ আমাদের ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপে ব্যবহার করে থাকি সেই মাইক্রোসফট উইন্ডোজের ইতিহাস প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ বছরের পুরনো । বর্তমানে আমরা যেরকম উইন্ডোজ দেখি তা আজ থেকে ৩০-৩৫ বছর আগে এরকম ছিল না । ১৯৮৩ সালের ১০ নভেম্বর মাইক্রোসফট এর প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস এই উইন্ডোজ প্রতিষ্ঠা করেন । 

পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালের ২০ নভেম্বর এটিকে জনসমুক্ষের মাঝে প্রকাশ করা হয় । এরপর থেকে আমরা এই আপডেট উইন্ডোজ গুলো ব্যবহার করে থাকে । বিভিন্ন প্রকারের উইন্ডোজ হয়েছে এবং সেগুলো কি কি চলুন সেগুলো দেখে নিই । 

উইন্ডোজ এন টি ( NT ) প্রকৃতপক্ষে মাইক্রোসফট দ্বারা তৈরি একটি অপারেটিং সিস্টেম । এটি  1988 সালে স্ক্র্যাচ এর মাধ্যমে বিকশিত হয়েছিল । এবং প্রথম উইন্ডোজ প্রকাশিত হয়েছিল 3.1 হিসেবে । এটি এসেছে ওয়ার্ক স্টেশন এবং সার্ভার উভয়ের সংস্করণেই । এই প্রকল্প টিকে অভ্যন্তরীণভাবে NT,  OS/2 বলা হত . কিন্তু  উইন্ডোজ 3 প্রকাশ পাওয়ার পর NT  এবং OS উইন্ডোজ হিসেবে চলতে শুরু করল । 

আরও পড়ুন ঃ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপের দাম ২০২৪ - কম দামে hp ল্যাপটপ

উইন্ডোজ  NT ২০০১ সাল পর্যন্ত ভোক্তারাউন্ডেশ কোড বেস থেকে আলাদা ছিল । উইন্ডোজ এন টি এর যে সংস্করণগুলি ভোক্তা পণ্য লাইনে ছিল না সেগুলো হল ঃ 

  • উইন্ডোজ এ টি  3.1 ( 1993 )
  • উইন্ডোজ এন টি 3.5 ( 1994 )
  • উইন্ডোজ এন টি 3.51 ( 1995 )
  • উইন্ডোজ এন টি 4.0 ( 1996  )
এর পরবর্তীতে NT মনিকারটি বাদ দিয়ে দেওয়া হয় । এন টি বাদ দেওয়ার পর এখন পর্যন্ত এটি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে কাজ করে । 

তবে বর্তমান সময়ে ডেক্সটপ কিংবা ল্যাপটপে যে সকল গুলো ব্যবহার করা হয় সেই সকল উইন্ডোজের প্রকার গুলো দেওয়া হল ঃ 

  • উইন্ডোজ 1.0 ( 1985 )
  • উইন্ডোজ 1.02 ( 1986 )
  • উইন্ডোজ 1.03 ( 1986 ) 
  • উইন্ডোজ 1.04 ( 1987 ) 
  • উইন্ডোজ 2.03 ( 1987 )
  • উইন্ডোজ  2.10 ( 1988 ) 
  • উইন্ডোজ 2.11 ( 1989 )
  • উইন্ডোজ 3.0 ( 1990 )
  • উইন্ডোজ 3.1 ( 1992 )
  • উইন্ডোজ  NT 3.1 ( 1993 )
  • উইন্ডোজ ফর ওয়ার্ক গ্রুপ 3.11 ( 1993 )
  • উইন্ডোজ 3.2 ( 1993 ) 
  • উইন্ডোজ NT 3.5 ( 1994 ) 
  • উইন্ডোজ NT 3.51 ( 1995 ) 
  • উইন্ডোজ 95 ( 1995 ) 
  • উইন্ডোজ NT 4.0 ( 1996 )
  • উইন্ডোজ 98 ( 1998 ) 
  • উইন্ডোজ 2000 ( 2000 ) 
  • উইন্ডোজ মি ( 2000 ) 
  • উইন্ডোজ এক্সপি ( 2001 ) 
  • উইন্ডোজ এক্সপি প্রফেশনাল x64 এডিশন ( 2005 ) 
  • উইন্ডোজ ভিস্টা ( 2007 ) 
এই উইন্ডোজ গুলো পূর্বের ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারে ব্যবহার করা হতো । তবে বর্তমানে যে সকল উইন্ডোজ গুলো ব্যবহার করা হয় সেগুলো হলো ঃ 

  • উইন্ডোজ 7 ( 2009 ) 
  • উইন্ডোজ 8 ( 2012 ) 
  • উইন্ডোজ 8.1 ( 2013 )
  • উইন্ডোজ 10 ( 2015 ) 
  • উইন্ডোজ 11 ( 2021 ) 
আমরা আমাদের ব্যক্তিগত ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপেএই সকল উইন্ডোজ গুলো ব্যবহার করে থাকি । 

উইন্ডোজ এর কাজ কি

আমরা যে ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপ গুলো ব্যবহার করে থাকি এ সকল ডেস্কটপ কিংবা ল্যাপটপগুলো উইন্ডোজ ছাড়া চালানো সম্ভব । এটি একটি মালটি টাস্কিং অপারেটিং সিস্টেম । যেটা ছাড়া ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপ একেবারে অচল । এই উইন্ডোজ থেকে খুব সহজে এপ্লিকেশন সফটওয়্যার পাওয়া যায় । 

উইন্ডোজ প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছে এবং এর জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত বেড়েই যাচ্ছে । এছাড়াও এই মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এর মূল কাজ হল কম্পিউটারের হার্ডওয়ার সফটওয়্যার গুলোকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা এবং কম্পিউটার প্রোগ্রামগুলোকে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে খুব সহজভাবে সাহায্য করা । 

এছাড়াও আমরা যারা ব্যক্তিগতভাবে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে থাকি সে সকল ইউজারদের ক্ষেত্রে ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সহজ একটি পরিবেশ তৈরি করে থাকে উইন্ডোজ । উইন্ডোজ ইউজার এবং কম্পিউটার এর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে থাকে । এবং ইউজার যখন যেই দিকে নির্দেশ দেয় উইন্ডোজ কম্পিউটার কে সে অনুযায়ী কাজ করতে সাহায্য করে । 

এছাড়া কম্পিউটারের পেরিফেরাল ডিভাইস গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে উইন্ডোজ । যতদিন যাচ্ছে উইন্ডোজ ততই আপডেট হচ্ছে । এবং এই আপডেট উইন্ডোজ ব্যবহার করে যে কোন কাজ খুব সহজে করা সম্ভব হচ্ছে এবং বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে এই আপডেট উইন্ডোজ গুলো থেকে ।

বর্তমান সময়ে ডেস্কটপগুলোতে উইন্ডোজ ১০ এবং উইন্ডোজ ১১ ব্যবহার করা হয়ে থাকে । কারণ এই উইন্ডোজ গুলোর সুযোগ সুবিধা বেশি এবং এই উইন্ডোজ এ যে কোন কাজ খুব সহজেও নিরাপদ ভাবে করা সম্ভব হয় । 

উইন্ডোজ কেন দিতে হয়

উইন্ডোজ হলে একটি মাইক্রোসফট অপারেটিং সিস্টেম । এটি মূলত কম্পিউটার এবং ল্যাপটপে ব্যবহার করা হয় । প্রতিটি কম্পিউটার এবং ল্যাপটপের কার্যক্রম ও কম্পিউটার বা ল্যাপটপকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে উইন্ডোজ ব্যবহার করা হয় । কারণ উইন্ডোজ ছাড়া কম্পিউটার বা ল্যাপটপ চালানো সম্ভব না । 

একটি কম্পিউটার দিয়ে শুধুমাত্র উইন্ডোজ ই নয় বরং আরো অনেক ধরনের অপারেটিং সিস্টেম রান করানো যায় । এবং কম্পিউটারের যে সকল কার্যক্রম গুলো রয়েছে সে সকল কার্যক্রম গুলো সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য আপডেট উইন্ডোজ ব্যবহার করা হয় । বর্তমান সময়ে ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারে উইন্ডোজ .১০ এবং উইন্ডোজ ১১ ব্যবহার করা হয় । 

আরও পড়ুন ঃ বাংলাদেশে সবচেয়ে কম দামে স্মার্টফোন গুলো সম্পর্কে জেনে নিন

তবে যে সকল ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার গুলোতে উইন্ডোজ ৭ উইন্ডোজ ৮ দেওয়া থাকে । কিন্তু এ সকল কম্পিউটার গুলোতে বর্তমান সময়ের যে সকল ফ্রিল্যান্সিং কাজ কিংবা অনলাইন ভিত্তিক যে সকল কাজগুলো রয়েছে সে সকল কাজ করতে একটু অসুবিধা হয় । কারণ বর্তমানে বিভিন্ন জিনিস আপডেট করা হচ্ছে । 

আর এই আপডেট কাজ কর্মের জন্য আপডেট উইন্ডোজ এর প্রয়োজন । এজন্য কম্পিউটারে বা ল্যাপটপে যাদের উইন্ডোজ ১০ এবং ১১ দেওয়া আছে তাদের উইন্ডোজ সংক্রান্ত তেমন কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না । মূলত এ সকল কারণে ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে উইন্ডোজ ব্যবহার করা হয় । 

কোন উইন্ডোজ সবচেয়ে ভালো

কোন উইন্ডোজ সব থেকে ভাল এ নিয়ে আমাদের মাঝে অনেক মতামত রয়েছে । কেউ বলে উইন্ডোজ ৭ সবথেকে ভালো আবার কেউ বলে উইন্ডোজ ১০ সবথেকে সেরা । আবার অনেকে মনে করেন যে উইন্ডোজ ১১ সব থেকে ভালো । কিন্তু উইন্ডোজ ১১ এখনো তেমনভাবে এর যাত্রা সকল দুয়ারে শুরু করতে পারেনি । 

আবার লক্ষ্য করে দেখবেন এখানে উইন্ডোজ ৮ এবং ভিস্তার কথা উল্লেখ করা হয়নি । এর কারণ হলো এই উইন্ডোজ গুলো অনেক পুরনো উইন্ডোজ । এখনো অনেকে ভাববেন যে যদি উইন্ডোজ ৭ যদি ভালো হয় তাহলে উইন্ডোজ ৮ কেন ভালো নয় । এই প্রশ্ন অনেকের মনে থাকতে পারে । এর কারণ হলো উইন্ডোজ 8 এক্সপির পুরনো একটি মডেল । 

আর উইন্ডোজ ৭ তেমন পুরনো না। যদি এগুলো একইসঙ্গে বা কিছু সময় আগে-পিছে আপডেট হয়েছে কিন্তু উইন্ডোজ ৭ কাজকর্মের জন্য সবথেকে ভালো একটি উইন্ডোজ । তবে বর্তমানে যে সকল কাজগুলো করা হয় এ সকল কারিগরি দিক দিয়ে বিবেচনা করলে উইন্ডোজ ১০ আরো ভালো বিশেষজ্ঞদের মতে । 

উইন্ডোজ ৭ এর যে সকল ভুল ত্রুটি গুলো রয়েছে সেগুলোকে সংশোধন করে উইন্ডোজ ১০ এ  প্রকাশ করা হয় । তবে উইন্ডোজ ১১ এখনও তেমনভাবে পরীক্ষিত হয়নি । উইন্ডোজ ১১ এর পরীক্ষামূলক সংস্করণ এখনো সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়নি । তার বর্তমানে উইন্ডোজ ১০ সব থেকে টপ ফর্মে রয়েছে  । 

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম কি

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম মূলত মাইক্রোসফট কর্পোরেশন দ্বারা তৈরিকৃত এবং বিকৃত গ্রাফিক্যাল অপারেটিং সিস্টেম এর পরিবার । ১৯৮৫ সালের নভেম্বরের মাইক্রোসফট এম এস ডস  ডিস্ক অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে এবং এর বাড়তি সুবিধা নিয়ে উইন্ডোজ বাজারে প্রকাশ করে । এরপর থেকে এই অপারেটিং সিস্টেমটি প্রতিটি ডেস্কটপে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয় । 

আমরা যখন এই উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমকে আমাদের ডেস্কটপে ব্যবহার করি তখন প্রথম অবস্থায় কিন্তু এটি ফ্রিতে পাওয়া যায় কিন্তু পরবর্তীতে যখন আমরা উইন্ডোজ সেটআপ করি তখন তা আর বিনামূল্যে পাওয়া যায় না । পরবর্তীতে উইন্ডোজ সেটআপ দেওয়ার জন্য অ্যাক্টিভেশন কোড ওদের থেকে কিনে নিতে হয় যেখান থেকে আমরা উইন্ডোজ সেটআপ দিয়ে নিই । 

উপসংহার

প্রিয় বন্ধুগণ আজকের এই আর্টিকেলটি ছিল উইন্ডোজ সম্পর্কিত । উইন্ডোজ কি কত প্রকার এবং কি কি সে সকল বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে এই আর্টিকেলটিতে । আশা করি আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়েছেন এবং উইন্ডোজ সম্পর্কিত যে সকল বিষয় নিয়ে এখানে আলোচনা করা হয়েছে তা বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন ।

ডেস্কটপ ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে বলবো যে আপনারা আপনাদের ডেস্টপে উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার করতে পারেন । যদি কেউ উইন্ডোজ ১১ ব্যবহার করতে চান তাহলে অবশ্যই তা যাচাই-বাছাই করে ভালো-মন্দ সঠিকভাবে দেখে তারপর সেটআপ দিবেন । 

আশা করি আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে । এবং আপনি আপনার সমস্যার সমাধান পেয়েছেন এছাড়াও উইন্ডোজ সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছেন । আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন । এবং বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল পেতে এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন । 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url